রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ভৈরবে রেল দুর্ঘটনায় যে যাত্রীরা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া যারা চিকিৎসারত রয়েছেন, তারা তাদের চিকিৎসার সব খরচ পাবেন রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
আজ (বৃহস্পতিবার) রেলভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় রেল মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট ৩ জনকে সাসপেন্ড করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি লোকোমাস্টারের অবহেলা বা অক্ষমতায় এ ঘটনা ঘটেছে৷
রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি আজ। আমি রেলের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার যে দুর্ঘটনা হয় সেখানে ২১ জন নিহত হয়েছিল। দীর্ঘদিন পর আবার একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটল। এ ঘটনায় গতকাল অবধি ১৯ জন এবং আজ ১ জন মিলে মোট ২০ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩৫ জন। ভৈরব থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ তথ্য জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, পঙ্গুতে ৬ জন, চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট হাসপাতালে ১ জন, রেল হাসপাতালে ১ এবং ভৈরবে ১ জনসহ মোট ১০ জন এই মুহুর্তে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বাকি অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ফার্স্ট এশিয়ান রেল সামিটে যোগ দিতে গত ২৩ অক্টোবর আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আমার প্রাইভেট সেক্রেটারিও ছিলেন সে সফরে। আরও কয়েকজন গিয়েছিলেন। ২৭ অক্টোবর অবধি আমার সেখানে অবস্থানের কথা ছিলো। কিন্তু এ দুর্ঘটনার পর আমি যাত্রা বাতিল করে গতকাল রাতেই ঢাকা এসেছি।