জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের পক্ষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আজ রোববার জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের প্রস্তাব করেন।
বিলে বলা হয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের লে-অফ ঘোষণা করা সত্ত্বেও মালিককে তাদের জন্য রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হবে, এবং স্বাভাবিক কর্মসময়ে লে-অফকৃত শ্রমিকদের মধ্যে যারা কাজের জন্য হাজিরা দিবেন, তাদের নাম এতে লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, লে-অফকালীন অন্য কোনভাবে শ্রমিক রেজিস্টার সংরক্ষণ বা শ্রমিক রেজিস্টারের বাইরের কোন শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোন শ্রমিককে, কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়িত শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা বা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে চাকরি থেকে ডিসচার্জ করা যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, কর্মকালীন দুর্ঘটনা ও পেশাগত রোগের কারণে কোন শ্রমিক তার বর্তমান কাজে অক্ষম হলে, তার ডিসচার্জের পাওনা পরিশোধপূর্বক মালিক, শ্রমিকের সম্মতিক্রমে, তাকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী অন্য কোনো কাজে নিয়োগ করতে পারবেন।
বিলে বলা হয়েছে, যদি কোন পঞ্জিকা বৎসরে কোন শ্রমিককে নিরবচ্ছিন্নভাবে ৪৫ দিনের অধিক সময়ের জন্য লে-অফ করা হয় এবং এ ৪৫ দিনের পর লে-অফের সময় যদি আরও ১৫ দিন বা এর বেশি বাড়ানো হয়, তা হলে ওই শ্রমিককে, শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে ভিন্নরূপ কোন চুক্তি না থাকলে, পরবর্তী প্রত্যেক ১৫ বা তদূর্ধ্ব দিনসমূহের লে-অফের জন্য বিধান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
বিলে বলা হয়, প্রত্যেক প্রসূতি তার মালিকের নিকট থেকে তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী অন্যূন ২১ দিনসহ সর্বমোট ১২০ দিনের প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন এবং তার মালিক তাকে এই সুবিধা প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোন প্রসূতি এই ধরনের সুবিধা পাবেন না যদি না তিনি তার মালিকের অধীন তার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পূর্বে অন্যূন ৬ মাস কাজ করে থাকেন।
এ ছাড়া কোন প্রসূতিকে এই ধরনের সুবিধা দেয়া হবে না যদি তার সন্তান প্রসবের সময় তার ২ বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে তবে, এইক্ষেত্রে তিনি কোন ছুটি পাওয়ার অধিকারী হলে তা তিনি পাবেন।
বিলে বলা হয়েছে, কোন প্রসূতি এই আইনের অধীন প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হলে তিনি তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ এবং কখন তিনি ছুটিতে যেতে ইচ্ছুক তা উল্লেখপূর্বক যে কোন দিন মালিককে লিখিত বা মৌখিকভাবে নোটিশ প্রদান করবেন।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি (প্রতিবন্ধী) নির্বিশেষে কোনো ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়ে দেন।