1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ অপরাহ্ন

গোবিন্দগঞ্জে সেমি-পাঁকা ঘর দেয়ার লোভ দেখিয়ে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

রানা রহমান
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১
বিশেষ প্রতিনিধি : গোবিন্দগঞ্জে বসতবাড়ীতে সেমি-পাঁকা ঘর দেয়ার লোভ দেখিয়ে শত-শত পরিবারের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ স্থানীয় একটি কলেজের পিয়ন প্রানেশ পালের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও অভিযোগে জানা যায়, বর্তমান সরকার অসহায়-দরিদ্র গৃহহীন পরিবারকে মুজিববর্ষে উপহার হিসাবে জমি ও সেমি-পাঁকা ঘর নির্মান দিচ্ছেন। এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার কোচাশহর,শিবপুর, কামারদহসহ কয়েকটি ইউনিয়নে পাঁকা ঘর করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামে-গ্রামে ২/৪টি আংশিক ভিত্তি স্থাপনের মাধ্যমে ঘরের সামান্য নির্মান কাজ করে,কোথা সামান্য বালু ফেলে,কোথাও সামান্য ইট ফেলে বিশ্বাস স্থাপন করে।এর পর সুযোগ বুঝে কোন কোন পবিবারের কাছ থেকে ৫০হাজার, কোন পরিবারের কাছ থেকে থেকে ১লাখ টাকাসহ নানা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয় সে। তার প্রতারনার শ্বীকার হয়েছেন,ওই এলাকার ছানোয়ার,শফিকুল, সাজু,মতিন,ময়নুল সহ শত শত মানুষ। তারা অভিযোগ করেন,পাঁকা ঘর দেয়ার নামে তাদের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
এসব প্রতারনা মূলক কার্যক্রম পুরা উপজেলা জুঁড়ে চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ধর্মীয় সংগঠনের কয়েকজন নেতা,কিছু কিছু এলাকায় দু/একজন দলীয় ছেলেকে এ প্রতারনা কর্মক্রমে সম্পৃক্ত করেছেন। তাদের কাজ কেউ এসব প্রতারনার অর্থ ফেরত চাইতে গেলে কখনও বা বুঝিয়ে থামিয়ে রাখা,তা না শুনলে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়। প্রানেশ পালের কাছে টাকা দিয়ে ঘর নির্মান করে নেয়ার প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে এখন অসহায় পরিবারগুলি টিনের ছাউনি ও ঘর ভেঙে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিন্তু ৬/৭ মাস অতিবাহিত হলে এসব ঘর নির্মান করে না দিয়ে ঘোরাঘুরি করায় অতিষ্ট এলাকাবাসী সম্প্রতি এলাকাবাসী হঠাৎ একদিন একটি বাড়ীতে প্রানেশকে দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়,এবং টাকা ফেরত দেয়ার দাবী জানালে তারসহযোগীদের সহায়তায় সে পুনরায় আবার তারিখ দিয়ে সুকৌশলে তাকে নিয়ে চলে যায়।এ বিষয়ে প্রানেশ পাল বলেন, আপনাদের টেনশন করার কোন কারন নেই,আমি ২৫০টি ঘর এনেছি,সুন্দর করে ঘর করে দিচ্ছি।তবে তিনি ঘরের বিনিময়ে টাকা নেয়ার কথা অস্বিকার করেন। কোন অর্থায়নে এসব ঘর নির্মিত হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে, কখনও ব্যক্তিগত,কখনও সরকারী,বেসরকারী দাতা সংস্থা সহ নানা অসংঙ্গতিপূর্ন উত্তর দিয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাম কৃষ্ণ বর্মন বলেন, মুজিববর্ষে যে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে ঘর নির্মান করে দিতে পারে,তবে ঘর নির্মানের নামে কেউ অর্থ হাতিয়ে নিলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি