ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৩ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়েছে, বিশাখাপত্তম থেকে যাওয়া একটি বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন আলামানদা ও কণ্টকাপাল্লের মাঝে কোথসাভাতসালায় অবস্থান করছিল। ট্রেনটির কাছে অন্য একটি ট্রেন আসার কোনো সংকেত পাঠানো হয়নি। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রেনটির সাথে সংঘর্ষ হয় এবং তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, মানুষের ভুলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা বলছে, ট্রেন চালককে কোনো সংকেত দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, যাত্রীবাহী ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম থেকে রায়গড়া যাচ্ছিল। ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন তাতে এসে ধাক্কা দেয় পালাসা এক্সপ্রেস। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনটির তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।
ভারতের পূর্ব মধ্য রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
প্রকাশিত দুর্ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে রয়েছে ট্রেনের বগি। সেখানে জড়ো হয়েছে বহু মানুষ। উদ্ধারকাজে হাত দিয়েছে স্থানীয়রাও।
ট্রেন দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছে, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নগরম জেলার ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিকটবর্তী জেলাগুলো থেকে যতটা সম্ভব অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাতে এবং কাছাকাছি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এ বিষয়ে কথা বলেছেন এবং ঘটনার বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন।