ইমামদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশের কোনো ছেলেমেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক প্রভৃতিতে সম্পৃক্ত না হয়, সেদিকে আপনারা (ইমাম) খেয়াল রাখবেন। তাদের সেভাবেই গড়ে তুলবেন।’
আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মদিনায় অবস্থিত মসজিদে-আন-নববীর ইমামুল খতিব শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। এই ধর্ম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। ইসলামের যে সম্প্রীতি এবং মানবতাবোধ- এটাই আমাদের আমাদের সবচেয়ে বড় মূল্যবান সম্পদ।
তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে- এই পরিবেশটাই আমরা রক্ষা করতে চাই। কোনোরকম সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, কোনোরকম অন্যের ওপর অত্যাচার, অবিচার যেন না হয়- সেটাই আমরা দেখতে চাই। কারণ ইসলাম ধর্ম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম।
সরকারপ্রধান বলেন, ইসলামের যে সম্প্রীতি এবং মানবতাবোধ- এটাই আমাদের আমাদের সবচেয়ে বড় মূল্যবান সম্পদ। এটাই আমাদের নবী করিম (সা.) ও আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছেন। নিরীহ মানুষকে হত্যা করা, তাদের ওপর অত্যাচার করা- এটা আমাদের দেশে যেন না হয়, আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
বিশ্বব্যাপী চলমান যুদ্ধের প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ওপর ইসরায়েলির অত্যাচার, নারী শিশু হত্যা আমরা কখনো চাই না। ইতোমধ্যে আমরা ফিলিস্তিনে শুকনো খাবার-ওষুধ পাঠিয়েছি। আমরা চাই সবাই শান্তিতে বসবাস করুক। বেলজিয়ামে গিয়েছিলাম, সেখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি- এই যুদ্ধ যেন থামে।
এর আগে ইমাম সম্মেলনে পৌঁছে প্রথমেই মঞ্চের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মসজিদ-ই-নববীর ইমামকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওইসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকার জন্য ইমামদের কাছে দোয়া চান সরকারপ্রধান।