নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা, তার ওপর এখন পেঁয়াজের এই অকল্পনীয় মূল্যবৃদ্ধি বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, সরকার সমর্থিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। পেঁয়াজের স্বাভাবিক সরবরাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কঠোর বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, দেশবাসীর দৈনন্দিন জীবনের সুখ-শান্তি আজ একের পর এক কেড়ে চলেছে এই ভোটারবিহীন গণবিরোধী সরকার। জবরদস্তিমূলক ক্ষমতা দখলকারীদের দৌরাত্ম্যে রাজনৈতিক সংকটের পাশাপাশি গুম, খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গোটা রাষ্ট্র মনুষ্যত্বহীন চেহারা ধারণ করে জনগণকে নিষ্পেষিত করছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশে সীমাহীন বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের অভাব ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের কোনো দায়িত্ব নেই। জনগণের কষ্টের প্রতি এই অগণতান্ত্রিক সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। হঠাৎ করে বাজারে লাফ দিয়ে পেঁয়াজের দামের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি আবারও প্রমাণ করে যে, সরকার জনগণের প্রাণের বিনিময়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকাকেই বড় করে দেখছে।
রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ পেঁয়াজের এই অগ্নিমূল্যে স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। গত দুই দিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা, আর আজকে পেঁয়াজের দর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতে ইলিশ উপহার হিসেবে প্রেরণ করার সাথেই সাথেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ এই সংবাদ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাজার সিন্ডিকেটের হোতারা তেলেসমাতি শুরু করে দেয়। বাজার অস্থির হয়ে পড়ে। দেশে পেঁয়াজ মজুত থাকলেও বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে পেঁয়াজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, এই সংকট কৃত্রিম।