গাজায় নির্বিচারে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলিভিয়া। তাছাড়া কনসাল্টেশনের জন্য লাতিন আমেরিকার আরও দুইটি দেশ তেল আবিব থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে।
দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজা উপত্যকায় আগ্রাসী ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ইসরায়েলি সামরিক হামলার প্রত্যাখ্যান ও নিন্দায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলিভিয়া।
মন্ত্রী মারিয়া নেলা প্রাদা আরও জানিয়েছে তার দেশ গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠাবে। তিনি বলেন, আমরা গাজায় হামলা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও বাস্তুচ্যূত হয়েছে।
বলিভিয়ার অন্য দুই প্রতিবেশী দেশ সাধারণ ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জানিয়েছে কলম্বিয়া ও চিলি কনসাল্টেশনের জন্য ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করেছে। ঐতিহাসিকভাবে লাতিন আমেরিকার বামপন্থি দেশগুলো ফিলিস্তিনের পক্ষে।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই হামলায় নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। যদিও আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে নিহতের সংখ্যা কয়েক ডজন। আহত হয়েছেন কয়েকশ ব্যক্তি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ আল-বাজুম জানান, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমাগুলো আবাসিক ভবনগুলো লক্ষ্য করে ফেলা হয়। বোমা হামলায় একটি আবাসিক কমপ্লেক্স সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতিটি বোমার ওজন ছিল এক টন।
খবর আল-জাজিরা