প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রাজধানীর রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। কবে এ বিষয়ে শুনানি হবে, তার দিন এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করছিল বিএনপি। সমাবেশ শুরু হওয়ার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
২৮ অক্টোবর রাতে গ্রেপ্তারের পর ডিবি অফিস থেকে মির্জা ফখরুলকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। অপরদিকে ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।