কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য ও সিনেটর এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের একটি ক্লাস চলাকালে সেখান থেকে বেরিয়ে যান একদল শিক্ষার্থী। গত বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ইসরায়েল বিরোধী একদল বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীর অবমাননার প্রতিবাদে তারা এ ওয়াক আউট করেন।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার হিলারি ক্লিনটন এবং কলম্বিয়ার স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন কেরেন ইয়ারহি-মিলোর ‘শান্তি প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক দুই ঘণ্টার একটি বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল।
ওই বক্তব্য শোনার জন্য কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী বসে ছিলেন। ক্লাসের অর্ধেক না যেতেই ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী উঠে দাঁড়ান এবং তাদের কম্পিউটার ও ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে ওয়াক আউট করেন। তারা ভবনের লবির কাছে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন।
এ দিন বিক্ষোভকারীরা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিল্ডিংয়ের পাশের এলাকায় চুপচাপ বসেছিল। তাদের মধ্যে অনেকের মুখোশ পরা ছিল। তারা মূলত ছাত্রদের প্রকাশ্যে লজ্জা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্কুলের ভূমিকার প্রতিবাদ করছিল। ক্যাম্পাসের কাছে গত সপ্তাহে একটি ট্রাকের ভিডিও স্ক্রিন প্যানেলে প্রদর্শিত হয়েছিল; স্ক্রিনে ‘কলাম্বিয়ার লিডিং অ্যান্টিসেমাইটস’ শব্দের নিচে ছাত্রদের মুখ দেখাচ্ছিল। শিক্ষার্থীরা বলেছে, ছবিগুলো স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ‘ব্যক্তিগত ও সুরক্ষিত’ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য অবিলম্বে আইনি সহায়তা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা, সুস্থতা এবং গোপনীয়তার প্রতিশ্রুতি দাবি করেছে।
যে ছাত্রদের ছবি ও ভিডিও প্যানেলে প্রদর্শিত হয়েছে, তারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার বিষয়ে একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিল। যে বিবৃতিতে লেখা ছিল ‘যুদ্ধ ও হতাহতের দায় নিঃসন্দেহে ইসরায়েলি চরমপন্থীদের ওপর বর্তায়। ’
ড. ইয়ারহি-মিলো এবং মিসেস ক্লিনটনের ক্লাস শেষ হয় বিকেল ৪টার দিকে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা আশা করছিলেন শিক্ষকদ্বয় তাদের কাছে আসবেন এবং কথা শুনবেন। কিন্তু ইয়ারহি-মিলো এবং হিলারি ক্লিনটন পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান।
কলম্বিয়ার একজন মুখপাত্র বলেন, এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মন্তব্য নেই।