সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালেদ এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেএ সরকার।
আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার আঞ্চলিক স্কাউট ভবনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে বিনামূল্যে তেল-জাতীয় ফসল সরিষার বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ম্ক্তুাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার সেলিনা পারাভিন, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি এজেডএম ইমাম উদ্দিন মুক্তা, মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলাদেশে খাদ্য সংকট ছিল। এখন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগামী জুন পর্যন্ত দেশে খাদ্য মজুত রয়েছে। কৃষিসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি গত ৫বছরে মুক্তাগাছায় যে উন্নয়ন হয়েছে তার চিত্র তুলে ধরেন এবং মুক্তাগাছার উন্নয়নে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুবিধাভোগী শফিকুল ইসলাম, কেরামত আলীসহ কয়েকজন চাষি তাদের অনুভূতি ব্যক্তকরে বলেন, আমরা আজ বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার পেয়ে খুবই খুশি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের নানা ভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এতে আমরা খুব উপকৃত হচ্ছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একই সাথে আমাদের সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদকেও ধান্যবাদ জানাচ্ছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি সরিষা আবাদকারী চাষিদের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করেন।
এ বছর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় তেল-জাতীয় ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সহায়তা হিসেবে বিনামূল্যে মুক্তাগাছা উপজেলায় সরিষা আবাদের জন্য ৪ হাজার ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষির মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার সেলিনা পারভিন জানায় তালিকাভুক্ত প্রত্যেক চাষিকে প্রতি এক বিঘা জমির জন্য ১ কেজি সরিষার বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। তিনি জানান, এ বছর মুক্তাগাছা উপজেলায় ১৩শ ৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৯ মেঃ টন।