রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, যমুনা নদীর ওপরে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের কাজ ৭২ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ওপর ডাবল লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এর ফলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগ আরও সহজ হবে।
আজ শনিবার সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেলপথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার প্রকল্প সরকারের একটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প। এটি আমরা আজ উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। এই রেলপথ চালুর ফলে ঢাকা-কক্সবাজার সড়ক ও মহাসড়কের ওপর চাপ অনেক হ্রাস পাবে। সহজ হবে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন। এই রেলপথ চালুর ফলে কক্সবাজারের সঙ্গে শুধু ঢাকাই নয়, বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তরাঞ্চলে এবং পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের পথও সুগম হলো।
মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে একটি আইকনিক রেলস্টেশন তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো আন্ডারপাস, ওভারপাস এবং হাতি চলাচলের জন্য এলিফ্যান্ট পাস নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিকল্পনা করেছে এই পথে যেসব ট্রেন চলবে, সেসব ট্রেনের ইঞ্জিনে সেন্সর থাকবে। এতে করে দূরে কোনো বন্য প্রাণী থাকলে সহজেই চালক যাতে বুঝতে পারে।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।