টানা ৮ ম্যাচ জিতে আগেই রাউন্ড রবিন লিগের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ভারত। তাই আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য কেবল নিয়ম রক্ষার। এমন ম্যাচেও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যায়নি স্বাগতিক টিম ম্যানেজমেন্ট। ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচটাকে হয়তোবা ‘ম্যাচ সিনারিওতে অনুশীলন’ হিসেবেই নিয়েছে তারা! এমনটা হলে ব্যাটারদের অনুশীলন বেশ ভালোই হয়েছে। আজ যতজন ব্যাটার আউট হয়েছেন, তাদের সবাই অন্তত ফিফটি পেয়েছেন।
রোববার (১২ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪১০ রান তুলেছে ভারত। অর্থাৎ নেদারল্যান্ডসের সামনে লক্ষ্য ৪১১ রানের। ভারতের হয়ে অপরাজিত ১২৮ রান করেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন লোকেশ রাহুলও।
ভারতকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার গিল ও রোহিত। প্রথম ১০ ওভারে ভারত কোনো উইকেট না হারিয়ে তোলে ৯১ রান ভারত। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল। তরুণ এই ওপেনার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন মাত্র ৩০ বলে। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুতই ফিরতে হয়েছে তাকে। পল ভ্যান মেকেরিনের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন গিল। তবে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা নিদামানুরু লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নিলে গিলকে ফিরতে হয়ে ৫১ রানের ইনিংস খেলে।
গিল ফেরার পরও হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন রোহিতও। পঞ্চাশ ছুুঁতে ভারতের অধিনায়ককে খেলতে হয়েছে ৪৪ বল। গিলের মতো হাফ সেঞ্চুরির পর আউট হয়েছেন রোহিতও। বাস ডি লিডের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যারেসির হাতে ধরা পড়েছেন ৬১ রান করা এই ব্যাটার। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে টানতে থাকেন কোহলি। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৫৩ বলে। যদিও তাকে ফিরতে হয়েছে ৫১ রানের ইনিংস খেলে।
এর পরের গল্পটা কেবলই আইয়ার ও রাহুলের। ৪৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া আইয়ার তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার ছুঁয়েছেন ৮৪ বলে। সেঞ্চুরির পর আরও দ্রুত রান তুলতে থাকেন আইয়ার। ডানহাতি এই ব্যাটারকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া রাহুলও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ডি লিডকে ছক্কা মেরে ৬২ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন রাহুল। যদিও সেই ওভারেই আউট হয়েছেন তিনি।
রাহুলকে থামতে হয়েছে ৬৪ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলে। রাহুলের বিদায়ে ভাঙে আইয়ারের সঙ্গে তার ২০৮ রানের জুটি। এদিকে শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১২৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন আইয়ার। ভারত পায় ৪১০ রানের পুঁজি। নেদারল্যান্ডসের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন ডি লিড।