বিষয়ভিত্তিক বিশ্বসেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস)। এ তালিকায় বাংলাদেশের তিন বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তা হলো- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
এই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গত ৪ মার্চ ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংস বাই সাবজেক্ট ২০২১’ শীর্ষক এই র্যাংকিংয়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিশ্বের ৮৫টি দেশের ১ হাজার ৪৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশে এ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ভিত্তিক আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে সেরা ৫০০ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
র্যাংকিংয়ে দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরি করা হয়েছে। প্রধান বিষয় (ব্রড সাবজেক্ট এরিয়া) ক্যাটাগরিতে ৫টি বিষয় আছে। তা হলো যথাক্রমে-ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সোস্যাল সাইন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, আটর্স অ্যান্ড হিউমেনিটিস, লাইফ সাইন্স অ্যান্ড মেডিসিন এবং ন্যাচার সাইন্স।
এছাড়া নির্দ্দিষ্ট বিষয় (স্পেসিফিক সাবজেক্ট) ক্যাটাগরিতে ৫১টি আলাদা আলাদা বিষয় আছে। এই র্যাংকিংয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ব্রড সাবজেক্ট এরিয়া) বুয়েটের অবস্থান ৩৪৭তম। আর সোস্যাল সাইন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (ব্রড সাবজেক্ট এরিয়া) ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১ থেকে ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কত নম্বরে, তা উল্লেখ করেনি কিউএস।
অপরদিকে স্পেসিফিক সাবজেক্ট ক্যাটাগরিতে বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ঢাবি ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৩৫১ থেকে ৪০০তম। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কত নম্বরে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (স্পেসিফিক সাবজেক্ট) ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৩০১ থেকে ৩৫০ এর মধ্যে, ঢাবি ৪০১ থেকে ৪৫০ এবং নর্থ সাউথ ৬০১ থেকে ৬৫০ এর মধ্যে রয়েছে।
এবার র্যাংকিংয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেট্স ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান পেয়েছে। অন্য যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের এক ডজনেরও বেশি বিষয় সেখানে স্থান করে নিয়েছে।
চারটি উৎস ব্যবহার করে এই র্যাংকিং করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুটি উৎস হলো একাডেমিক এবং কর্মকর্তার ওপর কিউএসের বিশ্বব্যাপী সমীক্ষা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়।
দ্বিতীয় দুটি সূচক গবেষণাপত্র মান মূল্যায়ন করে, যা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে গবেষণাপত্র এবং এইচ-সূচক প্রতি গবেষণামূলক উদ্ধৃতির ওপর ভিত্তি করে। এগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত গবেষণালব্ধ ডাটাবেস, এলজেভির স্কোপাস ডাটাবেস থেকে পাওয়া যায়। এই চারটি উপাদানের সমন্বয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিটি বিষয়ের র্যাংকিংয়ের জন্য ফলাফল তৈরি করা হয়।