বিশ্বকাপ জুড়ে দাপটের সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচ জয়ে অপ্রতিরোধ্য ভারত ফাইনালে পেয়েছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। টানা দশ জয়ে ফাইনালে আসা দলটি ঘরের মাঠে আহমেদাবাদে ১ লক্ষ ৩২ হাজার সমর্থকদের সামনে বিশ্বকাপ জয়ের হুংকার দিয়েছিল। তবে ক্রিকেট বিশ্বের সকল বিশ্লেষক থেকে ধরে ভক্তদের শিরোপা জয়ের ‘ফেবারিট’ তকমা পাওয়া ভারতকে নিজেদের জাত চিনিয়ে ৬ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া।
আসর জুড়েই এবার দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। তবে ভারতের সেই শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ ই কার ব্যর্থ হয়েছে। ফলে স্বাগতিকদের হয়নি বড় লক্ষ্য গড়া। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের তোপে ভারত গুটিয়ে গেছে ২৪০ রানেই। আর লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে হোঁচট খেলেও ট্রাভিস হেডের বিধ্বংসী শতকে ৪২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো অজিরা।
অথচ এই অস্ট্রেলিয়ারই টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল বড় দুই হার দিয়ে। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হার, এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জুটে ১৩৪ রানের বিশাল এক পরাজয়। সাবেক বিশ্বিচ্যাম্পিয়নদের এমন পরাজয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন এবার হয়তো সেমিফাইনালেই যেতে পারবে না কামিন্সরা। কিন্তু সমালোচকদের সে ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে অজিরা।
তৃতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা সাত জয়ে সেমি নিশ্চিতের পর ফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে অজিরা হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এরপর শিরোপা জয়ের ম্যাচে টানা দশ ম্যাচ অপরাজিত থাকা ভারতের বিরুদ্ধে দাপুটে এক জয়। এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারায় দারুণ খুশি অধিনায়ক কামিন্স। শিরোপা জয়ের পর গতকাল তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সেরাটা শেষের জন্যই জমা রেখেছিলাম। বড় ম্যাচগুলোতে কয়েকজনই ভালো অবদান রাখল, যেটা আমাদের এগিয়ে দিল।’
প্রথম দুই ম্যাচে হারায় পর কীভাবে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন এমন প্রশ্নে অজি এই অধিনায়ক বলেন, ‘বলেছিলাম আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং বিশ্বকাপ জিততে হবে। আর সেটার জন্য অপেক্ষা করার সময় নাই। আমাদের সাহসী হতে হবে, এখান থেকেই সেটা শুরু করতে হবে।’
টস জয়ের পর ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তে কাল দারুণ কাজে এসেছে। এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে কামিন্স বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে বেশির ভাগই আগে ব্যাট করেছি। আজ মনে হয়েছে রান তাড়া করলেই ভালো হবে। পরে ব্যাটিং সহজ হবে।’