জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সঙ্গে আজ বুধবার তার সংসদ ভবনে কার্যালয়ে নেপাল ফেডারেল পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা মাগার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সময় থেকেই নেপাল এদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। বাংলাদেশের নারী নেতৃত্ব ও নারীর ক্ষমতায়ন বৈশ্বিকভাবে প্রশংসিত।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, নেপালে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। আমাদের দেশের পর্যটক নেপালে ভ্রমন করে থাকে। বাংলাদেশে পাকৃতিক সৌর্ন্দয্যম-িত অনেক জায়গা রয়েছে। পর্যটনে দুদেশের সহযোগিতা থাকলে খাতটি আরও সমৃদ্ধ হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অনেক মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে সেখোনেও পর্যটকদের আকর্ষণীয় জায়গা। আমরা আশা করি দুদেশের মধ্যে দ্রুতই সড়ক-যোগাযোগও স্থাপিত হবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে ডেপুটি স্পিকার বলেন, মায়ানমারের বাস্তুচূত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নিরাপদ প্রত্যাবাসন জরুরি।
নেপাল ফেডারেল পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ইন্দিরা রানা মাগার বলেন, আমি কখনো বাংলাদেশে আসিনি। বাংলাদেশ খুবই চমৎকার দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাছাই করা জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ আমার হৃদয়ে রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের বানিজ্যিক সম্পর্কও চমৎকার।
তিনি বলেন, নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়ালেখা করছে। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায় নেপালের সংসদ।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু এখন আর কোন নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়। এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। নেপাল সব সময়ই এ নিষয়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং সমর্থন জানিয়ে যাবে।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া-২’র পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন, ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব যোজনা বামজান, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন কুটুসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।