বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের স্মৃতি এখনো দগদগে ভারতের। এরই মাঝে ফের মুখোমুখি হয় দুই ফাইনালিস্ট ভারত-অস্ট্রেলিয়া। তবে এবার ওয়ানডে নয় টি-টোয়েন্টি। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের কাল ছিল প্রথম ম্যাচ যেটিতে কাল রোমাঞ্চের দেখাই মিলেছে। দুর্দান্ত লড়াই করে শেষ বলের নাটকীয়তায় ভারত ম্যাচটি জিতে নিলো ২ উইকেটে।
শেষ বলে ১ রান দরকার ছিল ভারতের। ব্যাট করছিলেন রিঙ্কু সিং। শিন অ্যাবটকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন রিঙ্কু। তা-ও কোনও রান পেলেন না কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই ব্যাটার। কেন?
পরে জানা গেলো, অস্ট্রেলিয়ান পেসার শট অ্যাবটের করা শেষ বলটি নো বল ছিল। প্রথমে সন্দেহ হলে পরে রিভিউ দেখে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানালেন। যে কারণে নো বলের রানটি আগে কাউন্ট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচটি তখনই জিতে যায় ভারত। ফলে রিঙ্কুর ম্যাচজয়ী ছক্কাটিই অবশেষে বিফলে গেলো।
জয়ের জন্য ২০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট হারায় ভারত। কোনও বল খেলার আগেই রানআউট হন তিনি। অন্য ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালও বড় রান পেলেন না। ৮ বলে ২টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ২১ রান করে আউট হলেন ম্যাথু শর্টের বলে। ২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন ঈশান কিশান এবং সূর্যকুমার যাদব। বিশ্বকাপে রান না পাওয়া সূর্যকুমারকে আবার চেনা মেজাজে দেখা গেল ২০ ওভারের ক্রিকেটে। দু’জনের মধ্যে তিনিই বেশি আগ্রাসী ছিলেন। তাদোর তৃতীয় উইকেটের জুটিতে আসে ১১২ রান। ইশান খেললেন ৩৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ৫টি ছক্কা মারলেন তিনি। রান পেলেন না তিলক বর্মা (১০ বলে ১২)। ছয় নম্বরে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করলেন রিঙ্কু সিং। উইকেটের অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন সূর্যকুমারও। তিনি করলেন ৪২ বলে ৮০ রান। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৯টি চার এবং ৪টি ছয়। ব্যর্থ অক্ষর প্যাটেলও (২)। শেষ বেলায় সহজ পরিস্থিতিতে উইকেট ছুড়ে দিলেন তিনি। পর পর আউট হলেন রবি বিষ্ণোই, আর্শদীপ সিংহেরা। সহজ পরিস্থিতি কঠিন করে জিতে ভারত। শেষ বলে জয় এনে দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু। তিনি শেষ পর্যন্ত করলেন ২৩ রান।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জস ইঙ্গলিসের ১১০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের উপর ভর করে ভারতকে বড় লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বড় সংগ্রহে স্টিভ স্মিথের অবদান ছিল ৫২ রানের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইল স্বাগতিকরা।