দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এবার দলীয় মনোনয়ন থেকে বর্তমান অনেক সংসদ-সদস্য বাদ পড়েছেন, স্থান পেয়েছেন নতুন মুখ।
কারা বাদ পড়েছেন আর কারা নতুন করে দলে জায়গা করে নিয়েছেন, এনিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। শুধু দলীয় নেতাকর্মীই নন, পুরো দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে সেই দিকে।
আজ রোববার ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফের বৈঠকে বসছেন দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা। সভা শেষে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হবে, এনটাই বলছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
তালিকা প্রকাশের পরই জানা যাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত নৌকার পাল তুলল কারা। আর কারাই বা নৌকার পাল নামাতে বাধ্য হলেন।
সর্বত্র এ নিয়ে চলছে আলোচনা, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা পছন্দের নেতাকে সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে পোস্ট দিচ্ছেন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাদের গুণাবলি, বিভিন্ন উন্নয়ন, কর্মসূচির তথ্য তুলে ধরছেন। দাবি করছেন তিনিই পাবেন দলীয় মনোনয়ন।
এবার দলীয় মনোনয়নে প্রার্থীদের অনেকগুলো দিক বিবেচনা করা হয়েছে। জনপ্রিয়তা, দলে গ্রহণযোগ্যতা, মানবিকতা, দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকা ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থীদের নৌকার হাল ধরারা সুযোগ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি বিবেচনা করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার জরিপ এবং দলের সাংগঠনিক রিপোর্ট -এমনটাই দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র বলছে, এবার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি বিতর্কিত, জনবিচ্ছিন্নসহ শারীরিকভাবে অসুস্থ ও প্রবীণ বেশকিছু সংসদ-সদস্যকে। জায়গা পেয়েছেন ক্লিন ইমেজ, জনগণের কাছে জনপ্রিয় এবং এলাকায় পরিচিত নতুন প্রার্থীরা।
কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন, কারা বাদ পড়ছেন, এ বিষয় নেতারা মুখ খোলেননি। নেতারা বলছেন, বাদ দেওয়ার পরও অনেক সময় তাকেই প্রার্থী করা হয়, আবার ঘোষিত প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার নজিরও আছে। এ কারণেই এবার দলের পক্ষ থেকে কঠোর গোপনীয়তা রাখা হচ্ছে।
এদিকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার আগে রোববার সকাল ১০টায় দলের এবং সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার বাসভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩ হাজার ৩৬২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে রোববারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন। একই সঙ্গে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে, ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিজয়ী করার নির্দেশ দিতে পারেন দলীয় প্রধান।