ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধি : নিখোঁজের তিনদিন পর নীলফামারী ডিমলায় ভুট্টার ক্ষেত থেকে লাভলী বেগম(৩৩)নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতার ফরেস্ট সংলগ্ন খালপাড়া গ্রামের একটি ভুট্টার ক্ষেত থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো ও মুখমন্ডলে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।নিহত ওই গৃহবধু পাশ্ববর্তী ডোমার উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের দক্ষিণ আমবাড়ী গ্রামের রশিদুল ইসলামের মেয়ে ও একই এলাকার মৃত,আতিয়ার রহমানের ছেলে তাইবুল ইসলামের স্ত্রী।এ ঘটনায় লাভলী বেগমের স্বামী তাইবুল ইসলাম(৪০)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।নিহতের পিতা রশিদুল ইসলাম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে ডিমলা থানায় মামলা নং-৩,তারিখ ৪/৩/২০২১ইং দায়ের করেছেন!
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,বুধবার সকালে ওই ভুট্টার ক্ষেতে একই এলাকার মাইছুর ইসলামের স্ত্রী রাহিমা বেগম প্রথমে লাশটি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন।খবর পেয়ে ডিমলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের পরিচয় জানার চেষ্টা করেন।এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহতের ছবি ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে লাভলীর পিতা ঘটনাস্থলে এসে তার মেয়ের লাশ সনাক্ত করেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-ডিমলা সার্কেল) জয়ব্রত পাল,নীলফামারী ডিবি পুলিশ,পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)রংপুর,ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সিরাজুল ইসলাম,ওসি (তদন্ত)সোহেল রানা।
এদিকে নিহতের মা দুলালী বেগম অভিযোগ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর আগে তাইবুলের সাথে আমার মেয়ে লাভলীর বিয়ে হয়।বর্তমানে লাভলীর ৬ বছরের লাবিব নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে ও পুর্বের একটি সন্তান মারা গেছে।বিয়ের পর থেকে জামাতা তাইবুল আমার মেয়েকে কারনে-অকারনে অমানুষিক নির্যাতন করত ও ছোরা দিয়ে আমার মেয়েকে কয়েকবার হত্যারও চেষ্টা করেছিল সে।এমনকি একবার তার নির্যাতনে আমার মেয়ের গর্ভের সন্তান মারা যায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার আপোষ-মিমাংশা করে দিলে আমরাও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বার বার তা মেনে নেই।আমার মেয়ের লাশ পাওয়ার তিনদিন পুর্বে গত রোববার থেকে সে নিখোঁজ থাকলেও আমার জামাতা আমাদের কিছুই জানায়নি!এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন,এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।প্রাথমিক তদন্তে লাভলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকারীরা তাকে হত্যা করে লাশ এখানে ফেলে রেখে গেছে।ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিস্তরিত জানা যাবে।