ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলে যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ওষুধ, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মানবিক সরবরাহের বেশির ভাগই দক্ষিণাঞ্চলে বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় বলেছে, গাজায় যে পরিমাণ সাহায্য আসছে তাও ‘বিস্তৃত চাহিদা পূরণের জন্য অপর্যাপ্ত’।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে সংক্রামক রোগ ছড়ানোর উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এতে বলা হয়েছে, কিছু সংক্রামক রোগ যেমন ডায়রিয়া, তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ এবং উকুনের মতো স্বাস্থ্যবিধি-সম্পর্কিত অবস্থার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এ ছাড়া হেপাটাইটিসসহ রোগের প্রাদুর্ভাবের প্রাথমিক রিপোর্টও রয়েছে।
এদিকে আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়ার প্রেক্ষাপটে আরও ৩০ বন্দিকে মুক্ত করে দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস মুক্ত করে দিয়েছে তাদের হাতে জিম্মি আরও ১০ ইসরায়েলিকে। এ ছাড়া দুই বিদেশি নাগরিককেও মুক্ত করে দিয়েছে হামাস। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩০ নারী ও শিশু।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে চলা যুদ্ধ বিরতিতে ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস মুক্ত করে দিয়েছে অর্ধশতাধিক ইসরায়েলিকে।