বাংলাদেশে যত ধরনের হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সবগুলোর জন্য ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ৷
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশালে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী। এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে। তা না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে। এসব ঘটনা আমরা মোকাবিলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে ড. হাছান বলেন, আজকে যা করা হচ্ছে চোরাগুপ্তা হামলা, পেট্রোল বোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে? সন্ত্রাসী কার্যক্রম এই ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে, সাপ পেটানোর সময় মানুষ এরকম করে কি না সন্দেহ আছে। তারা সেই কাজটি করেছে৷ গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাহলে এই কাজ তারা করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিকাশ এবং বিস্তৃতিতে বিশ্বাস করে৷ আমরা মনে করি গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিকাশ যুক্ত৷ গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা যুক্ত৷ বহুমাত্রিক জনমতের বিকাশ যুক্ত৷ ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ যুক্ত৷ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে৷ বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে৷
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে এখন ৩৫টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, সরকারি ৪টি টেলিভিশন আছে৷ আমরা প্রায় ৫০টি টেলিভিশনের লাইসেন্স দিয়েছি৷ এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৫৬০ থেকে ১২৬০টিতে উন্নীত হয়েছে৷ পত্রিকা এবং অনলাইন মিলে ২০০ কাছাকাছি পোর্টাল আমরা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিয়েছি৷ নতুন গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ায় অনেক মানুষের চাকরির সংস্থান হচ্ছে৷
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে৷ ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি সিম ইউজ হয়৷ কারও দুই-তিনটা করে সিম৷ আমরা সরকার গঠন করার আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ, এখন সেটা ১২ কোটি৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন ৬ থেকে ৭ কোটি মানুষ৷ এখন দেশ সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল হয়েছে৷