বিশ্বকাপে ঢাকা ছিলেন ব্যর্থতার চাদরে৷ সিরিজের আগের ম্যাচেও ছিলেন বেশ খরুচে। এবার সেই স্যাম কারেনের ম্যাচসেরা বোলিংয়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপে নিয়েছেন মাত্র ২ উইকেট। বাজে বিশ্বকাপ কাটিয়ে নতুন শুরুর আশায় পা রেখেছিলেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৯.৫ ওভারে দিয়েছিলেন ৯৮ রান, যা ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে খরুচে স্পেল।
তবে ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের ওপর আস্থা হারাননি অধিনায়ক জস বাটলার। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই ভরসার প্রতিদানই দিয়েছেন কারেন। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ইংল্যান্ডও জিতেছে ৬ উইকেটে।
অ্যান্টিগায় টস হেরে আগে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল মাত্র ২০২ রান। এই ছোট সংগ্রহ ইংল্যান্ড তাড়া করেছে ৬ উইকেট আর ১০৩ বল হাতে রেখেই।
২০৩ রানের জবাবে ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকস ৩৫ বলে ৫০ রানের জুটি গড়লে ম্যাচে অনেকটাই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ১৫ বলে ২১ রান করে সল্ট আউট হলেও ৭২ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন জ্যাকস। জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট রান না পেলেও ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য তা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। হ্যারি ব্রুক ও অধিনায়ক বাটলার ৭৮ বলে ৯০ রানের জুটি গড়েন। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রুক। আর অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৪৫ বলে ৫৮ রান করে। এই ইনিংস খেলার পথে ইংল্যান্ডের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০০০ রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন বাটলার।
২০২ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত। কারণ, শুরুটা খারাপ হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা। ইংল্যান্ড পেসারদের দাপটে ২৩ রানেরই ৪ উইকেট হারায় শাই হোপের দল। সেখান থেকে অধিনায়ক হোপ শেরফান রাদারফোর্ডকে নিয়ে ১২৯ রানের জুটি গড়েন। তবে এই জুটি ভাঙার পর ধসে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ৫০ রানেই ৬ উইকেট হারায় তারা।
বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে কারেনের পাশাপাশি ৩ উইকেট নিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ২ উইকেট করে নিয়েছেন দুই তরুণ বোলার গাস আটকিনসন ও রেহান আহমেদ।