1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

এই প্রথম পেলে-নেইমারের ক্লাবের অবনমন

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের বড় নাম সান্তোস। এই ক্লাবে খেলেই বিশ্ব মাতানো তারকা হয়েছেন পেলে ও নেইমার। ক্লাবটির ১১১ বছরের ইতিহাসে জন্ম দিয়েছে আরও কতশত তারকাকে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির এবার সিরিআ থেকে সিরি-বিতে অবনমন হয়েছে। ক্লাবটির ফুটবল ইতিহাসে এবারই যা প্রথমবার ঘটলো।
লিগের শেষ দিনে ফোর্তালেজার বিপক্ষে ২-১ গোলের হারে অবনমন ঘটল ক্লাবটির। সাও পাওলো এবং ফ্ল্যামেঙ্গোর পাশাপাশি এই ক্লাবটিই ব্রাজিলিয়ান লিগের ইতিহাসে কখনো অবনমিত হয়নি।
চলতি মৌসুমে শুরু থেকেই ধুঁকছিল সান্তোস। ৩৮ লিগ ম্যাচে ১১ ম্যাচে জয় পেলেও ১৭ বার হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাদের। সেইসঙ্গে ছিল ১০ ড্র। শেষ দিনে অবনমন এড়াতে অন্তত ড্র করলেই হতো তাদের। আর হেরে গেলে তাকিয়ে থাকতে হতো বাহিয়ার দিকে। ৩৭তম ম্যাচডে শেষে সান্তোসের পয়েন্ট ছিল ৪৩ আর বাহিয়ার ছিল ৪১।
কিন্তু বৃহস্পতিবারের কোনো ফলই সান্তোসের পক্ষে আসেনি। নিজেরা ফোর্তালেজার কাছে ২-১ গোলে হেরেছে। অন্যদিকে বাহিয়া ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে অ্যাতলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে। ৩৮তম দিনে এসে তাই সান্তোসের পয়েন্ট আটকে রইলো ৪৩এ। আর বাহিয়া ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে চলে যায় রেলিগেশন জোনের বাইরে।
শেষদিনে সান্তোসের ভাগ্য টিকিয়ে রাখতে পারতো আরেক ক্লাব ভাস্কো ডা গামা। তবে সেখান থেকেও নিরাশ হতে হয়েছে তাদের। ভাস্কো দা গামা নিজেদের ম্যাচে ড্র করলেও টিকে থাকতে পারতো সান্তোস। ব্রাগান্তিনোর বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে ১-১ ছিল স্কোরলাইন। একইসময়ে ফোর্তালেজার বিপক্ষেও ১-১ গোলে ড্র ছিল সান্তোসের ম্যাচ। ৮২ মিনিটে ভাস্কো দা গামা নিজেদের জয়সূচক গোল করে। সেসময় ঝুলে যায় সান্তোসের আশা।
প্রথম বিভাগের ফুটবলে টিকে থাকতে জয় দরকার ছিল সান্তোসের। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের উল্টো গোল খেয়ে ভেঙে যায় সান্তোসের স্বপ্ন। ভাস্কো দা গামা লিগ শেষ করে ১৫তম স্থানে থেকে। ১৬তম স্থান দখল করে বাহিয়া। আর ১৭তম স্থানে থেকে নিচের লিগে নেমে যেতে হয় সান্তোসকে।
ব্রাজিলিয়ান সিরি-আ এর ফরম্যাট অনুযায়ী, চার দল অবনমনে যায়। ১৭তম স্থান থেকে শেষের চার দল নেমে যায় নিচের স্তরে। শীর্ষ চার দল জায়গা পায় কোপা লিবার্তোদেরেসে। এবারের লীগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পালমেইরাস। সেরা চারে পালমেইরাস ছাড়া জায়গা পেয়েছে গ্রেমিও, অ্যাটলেটিকো মিনেইরো এবং ফ্ল্যামেঙ্গো।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি