মুর্যালটি আজ প্রদর্শনীর জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি মঞ্চে রাখা হয়। শতশত লোক এটি দেখতে ভিড় জমান। কাঠমিস্ত্রি সোবাহান এ মুর্যালটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করেছেন।
উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্মকর্তারা আজ প্রথমে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ও পরে ওই মুর্যালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। দিবসটি উপলক্ষে ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, থানার ওসি মনিরুল ইসলাম, ভাইসচেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, ফাহিমা ছাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, ডা. মোসলেম উদ্দিন, শাহ আলম হাওলাদার, প্রেস ক্লাব সভাপতি মইনুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কাঠমিস্ত্রি সোবাহান শেখ বলেন, মুর্যালটি তৈরি করতে সময় লেগেছে টানা এক বছর। বাড়িতে বসে এটি তৈরির কাজে স্ত্রী, সন্তানেরা সহযোগিতা করেছে। ব্যয় হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। তবে নির্দিষ্ট হিসাব নেই।
বারইখালী গ্রামের সোবাহান শেখ শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার স্ত্রী ও তিন সন্তার রয়েছে। সমাজসেবা দফতর থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা ও কাঠমিস্ত্রির কাজ করে কোনোমতে সংসার চলে তার।
দিনমজুর আজিজ শেখের ছেলে সোবাহান শেখ আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হওয়ায় ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুকে লালন করে আসছেন মনেপ্রাণে।
তিনি জানান, মনের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দীর্ঘ পরিশ্রম করে, তৈরি করেছেন জাতির পিতার মুর্যাল। তার বাকি স্বপ্ন পূরণ হবে এটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারলে।