সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য ‘জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ’ নিতে হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক বিবৃতিতে প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, তিনি ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন যে, গাজায় যুদ্ধের বিস্তার এবং বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমাতে ‘সকল সম্ভাব্য প্রচেষ্টা’ গ্রহণ করতে হবে। কারণ এটি ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া’ ফেলতে পারে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায় তা নিশ্চিত করার জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে হবে।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে গত একদিনে ৩১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে দখলদার বাহিনী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জাতিসংঘের এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে। গাজার ঘন জনবসতি এলাকাগুলোতে জল, স্থল ও আকাশ তিন দিক থেকেই আক্রমণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার গাজার বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজা শহরের পূর্বে আল-দোরজ এলাকায় গোলাগুলি করেছে তারা। ওই ঘটনায় একটি বাড়ি ধসে পড়ে অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলের দুটি বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে। সেখানেও অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে হামলা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন ফিলিস্তিনি।
এদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরের পশ্চিম এলাকার একটি আবাসিক ভবনেও আক্রমণ করা হয়েছে। সেখানে অন্তত ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।