ভিটামিনের অভাবে একসময়ে শিশুদের রাতকানা (অন্ধত্ব) রোগের প্রকোপ থাকলেও এখন তা শূন্যের কোঠায় নেমেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ এর পর্যাপ্ততা পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক নানা জটিলতা দূর হয়।
আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন এই কর্মসূচি হাতে নেন তখন ৪ শতাংশের বেশি শিশু ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে অন্ধুত্বসহ নানা রোগে ভুগতো। এ ছাড়া একসময়ে স্টান্টিং অনেক ছিল। পুষ্টির মান বাড়ায় এখন সেটি ২০ শতাংশের নিচে চলে এসেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর একমাত্র বাংলাদেশই কালাজ্বর থেকে মুক্ত হয়েছে। একইভাবে ফাইলেরিয়াও। আমরা মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যে অনেক এগিয়েছি। আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু কমেছে। এটি আরও কমাতে হলে বাল্যবিয়ে রোধ করতে হবে। একজন অসুস্থ মা সন্তান জন্ম দিলে অপরিণত ও কম ওজনের শিশুর জন্ম হতে পারে। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারিতে অনেক পিছিয়ে আছি। ক্লিনিক ও হাসপাতালে যাতে নেয় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আট ঘণ্টা সার্ভিসে হাসপাতালগুলো চলতে পারে না। এগুলো ২৪ ঘণ্টা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বাড়বে, কমবে শিশু ও মাতৃমৃত্যু। একই সঙ্গে অহেতুক কেউ যাতে সি-সেকশন না করায় সেদিকে নজর দিতে হবে। হাসপাতালে বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসার মান বাড়াতে হবে। নার্সের ঘাটতি আগের মতো না হলেও চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। এজন্য নতুন করে ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা দেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী ২ কোটি ৩০ লাখের বেশি শিশুকে আজ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ক্যাপুসল খাওয়ানো হবে।