চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র এর পর থেকেই মৃত্যুকূপ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে গ্রুপ ‘এফ’। চারটি শীর্ষ লিগের চার বড় দলই যে আছে এই গ্রুপে। বুন্দেসলিগার বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড, লিগ ওয়ানের পিএসজি, সিরি আর এসি মিলান এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নিউক্যাসল ইউনাইটেড।
এই চার দলের তিনটি- অর্থাৎ পিএসজি, এসি মিলান এবং নিউক্যাসলের জন্য কালই ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিতের শেষ সুযোগ। নক আউট পর্বে যাওয়ার ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপেরা মাঠে নেমেছিল সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা ডর্টমিন্ডের বিপক্ষে। আরেক ম্যাচে মিলানের প্রতিপক্ষ ছিল নিউক্যাসল।
আর ইউরোপ সেরার মঞ্চে পরের পর্ব নিশ্চিতের লড়াইয়ে নেমে রীতিমত রলার কোস্টার রাইডের অভিজ্ঞতা নিতে হয়েছে পিএসজি, মিলান এবং নিউক্যাসলকে। তবে দুই ম্যাচ শেষে ভাগ্যের শিকে ছিড়েছে একমাত্র পিএসজিরই। তবে এর আগে যেতে হয়েছে চরম নাটকীয়তার ভেতর দিয়ে।
বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোলই করতে পারেনি পিএসজি। দুই দল বিরতিতে যায় গোল শূন্য ড্র নিয়ে। ওদিকে আরেক ম্যাচে মিলানের বিপক্ষে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল।
এদিকে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আবার উল্টো গোল হজম করে বসে পিএসজি। তবে মিনিট পাঁচেক পরেই অবশ্য সমতায় ফেরে ফরাসি জায়ান্টরা। এদিকে মিলানও তখন নিউক্যাসলের বিপক্ষে ফিরেছে সমতায়।
এরপরও কাল ম্যাচে জমে ওঠেছিল নাটকীয়তা। পিএসজির হয়ে এমবাপে একবার লক্ষ্যভেদ করলেও অফসাইডের ফাঁদে পরে তা বাতিল হয়ে যায়। ওদিকে নিউক্যসলের স্বপ্ন ভেঙে ম্যাচে এগিয়ে যায় মিলান। তখন সমীকরণ দাঁড়ায়, ডর্টমুন্ড যদি জয় পায় তাহলে মিলানই যাবে শেষ ষোলোয়।
তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি জার্মান ক্লাবটি। তাই নিউক্যাসলের বিপক্ষে জয় পেয়ে পিএসজির সমান ৮ পয়েন্ট নিয়েও ফরাসি ক্লাবটির সাথে মুখোমুখি দেখায় পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয় মিলানকে। অন্যদিকে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ড্র করেও শেষ ষোলো নিশ্চিত করে পিএসজি।