গাজা উপত্যকায় শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আল জাজিরার এক সাংবাদিক নিহত এবং তার সহকর্মী আহত হয়েছেন। কাতারের বার্তা সংস্থাটি এ কথা জানিয়েছে।
দেশটির খান ইউনিসের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্যামেরাম্যান সামের আবু দক্কা ও গাজা ব্যুরো চীফ ওয়ায়েল আল-দাহদৌ আহত হন বলে আল-জাজিরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল।
এমন হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নিন্দা জানিয়ে আল জাজিরা বলেছে, সেখানে তারা ড্রোন হামলায় আহত হন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরায়েলি বাহিনী অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধার কর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়ার কারণে সাংবাদিক সামের ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে পড়ে ছিলেন।’
এদিকে এএফপির এক সাংবাদিক জানান, আল-দাহদৌ বাহুতে আঘাত পান এবং তাকে চিতিকৎসার জন্য খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ আপডেটে আল-জাজিরা বলেছে, আল-দাহদৌ চিকিৎসার জন্য অবরুদ্ধ এলাকা ছেড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আসতে পারলেও সেখানের অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে চিকিৎসকরা যেতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে পরে তিনি মারা যান।
সেখানে এমন হামলার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সাংবাদিক সুরক্ষা কমিটির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ৬০ জনেরও বেশি সাংবাদিক এবং মিডিয়া স্টাফ প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং তারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে।
হামাস সরকার জানায়, গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় কমপক্ষে ১৯ হাজার নিহত হয়। এদের মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু।
খবর এএফপি