আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী পুরুষের সমতায় বিশ্বের নতুন ভাবে উন্মোচিত হবে। এবারের স্লোগান ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে সমতার বিশ্ব’। বাংলাদেশের সকল স্তরের নারী-পুরুষ বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করবে।
রাজনীতি, কর্মক্ষেত্র, সমাজ, রাষ্ট্রের নানা পর্যায়ে নারীরা এখনো পিছিয়ে আছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকেই এর সবচেয়ে বড় প্রতিবন্দকতা হিসেবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ ১২ বছরেও রাজনীতিতে নারীর ৩৩ শতাংশ অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়ের পাশাপাশি সমাজের সকল ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার তাগিদ মানবাধিকার কর্মীদের।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিয়ের বাজারে নারীর অবমূল্যায়ণ করে তোলাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। গায়ের রং, শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্বাবলম্বিতা, সাংসারিক দক্ষতার ধরা হয় বিয়ের বাজারে দাম বাড়ানোর উপাদান হিসেবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হলেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পরিবারে, শেষমেষ পুরুষের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাচ্ছে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্যমতে, দেশে এখনো ৭৭ শতাংশ নারী পরিবারেই নির্যাতনের শিকার। ৮০ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন ।
জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশে এখনও অর্ধেকের বেশি মেয়ের বাল্য বিবাহ হয়। উচ্চ শিক্ষায় নারীরা পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ি, সরকারি চাকুরীক্ষেত্রে নারীর পদচারণা ৩০ শতাংশের কম। তাই সমতার বিশ্ব গড়তে সময় লাগবে সকলের মনোভাব আরও ইতিবাচক হওয়া প্রয়োজন।