বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কর্মচারী নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার গাঙ্গুলী’র কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার বিকেলে অত্র এলাকাবাসীর আয়োজনে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে করে সাদুল্লাপুর- পলাশবাড়ী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিষয়টি অবহিত হয়েছে।এ সময় বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম আশিক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ( ঝাড়ুদার) কল্পনা রানী দাস, রঞ্জিত কুমার দাস, কমল চন্দ্র দাস, হাসান আলী সহ এলাকাবাসীবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান- নলডাঙ্গার কালিবাড়ী পাড়ার রঞ্জিত কুমার দাস মা মায়া রানী দাস নলডাঙ্গা উমেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় ঝাড়ুদার পদে দীর্ঘ ২১ বছর ৭ মাস চাকুরী করে মারা যান। এতে করে পদটি শূন্য হলে তার শ্বাশুড়ি মায়া রানীর কোঠা অনুযায়ী সে চাকুরী পাওয়ার আশায় মায়া রানী দাস পুত্র রঞ্জিত কুমার দাস ও কল্পনা রানী দাস বিশেষ করে কল্পনা রানী দাস ২০০৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ বছর ৭ মাস বিনা বেতনে ঝাড়ু দার কাজ করে আসছে। ২০২০ সালে স্থানীয় পত্রিকায় প্রধান শিক্ষকের মরামর্শ অনুযায়ী ঝাড়ুদার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পায়। এতে কতে কল্পনা রানী দাস উক্ত পদে চাকুরীর জন্য গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার গাঙ্গুলীর নিকট গেলে কল্পনাকে চাকুরীর আশ্বাস দেয় এবং পরবর্তীতে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। সে ৫ লাখ টাকা দিতে না পারায় ঐ এলাকার স্থানীয় এমপিকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা গোপনে বোর্ড মিটিং করে কল্পনার পাশ্ববর্তী বাসিন্দা দুলাল চন্দ্র দাস পুত্র শাওন কুমার দাসকে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করে। যা বিধি বহিভূর্ত নয় ও সম্পূর্ণ বেআইনি। বর্তমানে কল্পনা রানীর পরিবার নিঃশ্ব অবস্থায় রয়েছে।
তারা আরো জানান- এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি অবগত করেছেন।উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষকের সাথে কল্পনা রানীর মোবাইলে কথোপকোথনে টাকা চাওয়ার বিষয়টির প্রমান পাওয়া গেছে