জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন সমঝোতাকে ‘নির্বাচনী কৌশল’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জোট হয়নি, সমন্বয় হয়েছে। এটা নির্বাচনী কৌশল।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। সেহেতু এখানে জোট করার প্রয়োজনীয়তা নেই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের সমন্বয় হয়েছে। এটা আমাদের নির্বাচনী কৌশল। আমরা কৌশলটা এভাবেই ঠিক করেছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা রাজনৈতিকভাবে বেশি আলোচনা করেছি। সেজন্য আমরা আসন সমঝোতা করেছি।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে তারা (জাপা) সাপোর্ট (সমর্থন) চেয়েছে। সেজন্য আমরা জাতীয় পার্টির জন্য ২৬ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছি। বাকি আসনগুলোতে তারা (জাপা) লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিযোগিতা করবে। শরিক দলের প্রার্থীরা ছয় আসনে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবেন। সব মিলিয়ে ২৬৩ জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ১৪ দলসহ নৌকার প্রতীকে থাকছে ২৭০ জন। ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনেও এমন সমঝোতা হয়েছিল।
‘নির্বাচনে আনতে বিএনপি নেতাদের মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল’ কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (রাজ্জাক) যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। আওয়ামী লীগ কোনো দেউলিয়া দল নয়। আওয়ামী লীগ দলীয় নিয়মনীতি ভঙ্গ করে, এ ধরনের উদ্ভট প্রস্তাব বিএনপিকে দেবে, এটা সঠিক নয়। এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমাদের সরকার দেয়নি, দলও দেয়নি।
কৃষিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, দলই সিদ্ধান্ত নেবে, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না। আর কীভাবে ব্যবস্থা নেবে, সেটাও দলের ব্যাপার।
বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) জেলে আছে কত? হিসাবটা আমি মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে অনেকবার চেয়েছি। একটা উদ্ভট সংখ্যা বলে দিল, সেটা সবাই বিশ্বাস করবে এমন নয়। এত লোক গ্রেপ্তার হয়নি। আর যারা পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, হাসপাতালে হামলা করেছে তাদেরকে তো আইনের আওতায় আসতেই হবে। কাউকে নির্বাচনে আনার জন্য অপরাধকে ক্ষমা করতে হবে, এমন দল আওয়ামী লীগ নয়।