চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হওয়ার খবরে দেশটিতে শনিবার শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্র পাভেল গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি এত প্রাণহানির ঘটনায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বন্দুকধারী তার বাবাকে হত্যা করে বলে ধারণা করা হয়। পাশাপাশি গেল সপ্তাহে দুজনের মৃত্যুর সঙ্গেও সে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ বলছে, বন্দুকধারীকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
ইউরোপের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ গুলির ঘটনা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে চেক রাজধানীতে চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে গুলির ঘটনা শুরু হয়।
বন্দুকধারী ভবনের করিডোর ও ক্লাসরুমে গুলি ছোড়ে, যাকে পাচ্ছিল, তাকেই গুলি করছিল। শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা ফার্নিচার ব্যবহার করে তাকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেন।
পুলিশ বলছে, বন্দুকধারী ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। তার আগের অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই।
গোলাগুলিতে আহত ২৫ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। কোনো কর্মকর্তা আহত হননি।
এক বিবৃতিতে চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা বলেন, এ জঘন্য কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত।
খবর বিবিসি