অদ্য দপুরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশান সেন্টমার্টিন্স কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাচারের সময় ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ও পাচারকার্যে ব্যবহৃত কাঠের নৌকাসহ পাঁচজন মাদক পারকারীকে আটক করা হয়।
সোমবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার আমিরুল হক এ তথ্য জানান।
লেঃ কমান্ডার আমিরুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনা দিয়ে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার হবে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে স্টেশান কমান্ডার সেন্টমার্টিন লেঃ এম আরিফুজ্জামান রনি, (এক্স), বিএন এর নেতৃত্বে টেকনাফ থানাধীন সেন্টমার্টিন লাইট হাউজ হতে ০৪ নটিক্যাল মাইল উত্তর পূর্ব দিকে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালীন সময় আনুমানিক ১৩৫০ ঘটিকায় মায়ানমার সীমানা হতে ০১টি কাঠের নৌকা বাংলাদেশ সীমানায় আসতে দেখা যায় এবং বাংলাদেশ সীমানায় আসার পরে সন্দেহ জনকভাবে কাঠের নৌকাটিতে থামার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। কোস্ট গার্ড এর এর স্পীড বোট দেখে দ্রুত গতিতে পালাতে চেষ্টা করলে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা ধাওয়া করে কাঠের নৌকাটি জব্দ করে।
পরবর্তীতে নৌকাটি তল্লাশি করে ০৩ টি প্লাস্টিক পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবাসহ পাঁচ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। জব্দকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯০ লক্ষ টাকা।
আটককৃতরা হলো ১। নুরুল আমিন(৫০), ২। আব্দুল কুদ্দুস(৪০), ৩। করিম মোল্লা(২৫) ও ৪। ওমর ফারুক(২২) এরা প্রত্যেকেই কক্সবাজার জেলার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দা এবং ৫। সানাম উল্লাহ(৩০) কক্সবাজার জেলার টেকনাফের ডংগারপাড়া এলাকার আমিন এর ছেলে। আটককৃত ইয়াবা পাচারকারীদের, জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ও কাঠের নৌকা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর আওতাভুক্ত এলাকা সমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তার পাশাপাশি বনদস্যুতা, ডাকাতি দমন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ রোধে কোস্ট গার্ডের জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে, নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।