1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনে যেসব কারণে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসবেন এমন গুঞ্জন যতোদিন যাচ্ছে ততোই সরব হচ্ছে । গত তিনদিনে রয়টার্স, পলিটিকো, আল জাজিরা এ নিয়ে বিশষ প্রতিবেদন করেছে।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জাতীয় পর্যায়ে করা বিভিন্ন জনমত জরিপের হিসাব বলছে, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প মনোনয়ন পেতে নিজ দলের অন্যদের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ।
ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে আবারও মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে মুলত চার কারণে ট্রাম্প বাইডেনকে নির্বাচনে হারিয়ে বিজয়ী হতে পারেন।
তরুণ ভোটারের আস্থা ট্রাম্পে
জো বাইডেনের নেতৃত্বধীন হোয়াইট হাউস বলছে, দেশের অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু তরুণ ভোটাররা বলছেন,মুদিপণ্য, গাড়ি–বাড়ি, শিশু ও বয়স্কদের দেখভালসহ বিভিন্ন জরুরি পণ্য ও সেবা খাতে খরচ বেড়েছে। তবে সে অনুযায়ী বেতন বাড়েনি। জনমত জরিপের তথ্য বলছে, ভোটারদের একটি বড় অংশ মনে করেন, ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে রিপাবলিকানদের হাতে মার্কিন অর্থনীতি ভালো থাকে।
ট্রাম্পের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে দুবার অভিশংসিত হয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অনেকের ধারণা ট্রাম্পের এসব আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের বড়ো অংশকে তার পক্ষে প্রভাবিত করেছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছিল রয়টার্স ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইপসস’। তাতে দেখা যায়, ট্রাম্পের সমর্থকদের অন্তত অর্ধেক জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে যদি কোনো অপরাধে সাজাও দেওয়া হয়, তারপর তাঁকে ভোট দেবেন তাঁরা।
বাইডেনে আচরণে দু:শ্চিন্তা
বাইডেনের সময়ে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য সম্মানজনক একটি বেতন এবং কলেজে পড়াশোনার মতো বিষয়গুলো অনেকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এগুলোকেই আমেরিকান জীবনের ভিত্তি হিসেবে মনে করা হয়। এ ছাড়া জরিপে দেখা গেছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মার্কিন ভোটাররা। মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশও ভাবাচ্ছে তাঁদের।
কিন্তু ট্রাম্প এসব ক্ষেত্রে কট্টর। শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের স্বার্থ আগে দেখেন। জাতীয়তাবাদী স্বার্থ আগে দেখেন। ।
বাইডেনের যুদ্ধে জড়ানো ভুল
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে দুটি যুদ্ধের সঙ্গে বাইডেন নিজেকে জড়িয়েছেন বাইডেন। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই সংশ্লিষ্টতা মার্কিনিদের মধ্যে বিভক্তি এনেছে। বিদেশে হস্তক্ষেপ না করার জন্য ট্রাম্পের একটি পরিচিতি রয়েছে। তাঁর নীতি হচ্ছে ‘আমেরিকাকে অগ্রাধিকার’। ট্রাম্পের ‘সবার আগে আমেরিকাকে আগ্রাধিকার’ নীতিতে ভোটাররা আস্থা রাখছেন বেশি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি