ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলের অনেক শহর লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ফলে নববর্ষের অনুষ্ঠান পালন বাদ দিয়ে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নিতে বাধ্য হয় এসব শহরের বাসিন্দারা। সূত্র : আল-মায়েদীন
রোববার রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে তেল আবিব ও অ্যাশদোদসহ বহু ইসরায়েলি শহরে সাইরেনের প্রচণ্ড শব্দ বাজতে শুরু করে। এর ফলে ইসরায়েলি নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে।
আল-মায়াদিন টিভি জানিয়ছে, জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহর থেকেও রোববার রাতে তেল আবিবকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা হয়েছে। গাজা থেকে মধ্যরাতে রকেট উৎক্ষেপণ শুরু হলে গাজাবাসী আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে এ হামলাকে স্বাগত জানায়। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা তিন মাসের ভয়াবহ বোমাবর্ষণের পরও ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট উৎক্ষেপণের সক্ষমতা দেখে উল্লাস প্রকাশ করেন গাজাবাসী।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো গাজা থেকে তেলআবিব অভিমুখে অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যাওয়ার খবর দিয়েছে। এসব গণমাধ্যম ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে বলেছে, এই বাহিনী যখন দাবি করছে তাদের গত তিন মাসের অভিযানে হামাসের রকেট হামলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে তখন তেল আবিবে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট নিক্ষেপের ঘটনা এর উল্টো চিত্রই প্রমাণ করছে। এসব গণমাধ্যম বলেছে, ‘আমরা নিজেদেরকে মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকি।’ ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওত আহরোনোত লিখেছে, ‘ইসরায়েল গাজা থেকে নিক্ষিপ্ত রকেটের মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করেছে।