1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

রিজার্ভ থেকে ৬ মাসে ৬৭০ কোটি ডলার বিক্রি

জাতীয় অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট : সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৪

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর)  রিজার্ভ থেকে সব মিলিয়ে ৬৭০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্য, সারসহ সরকারি কেনাকাটায় প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংকের কাছে এই ডলার বিক্রি করা হয়েছে।

একই সময়ে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ১ দশমিক শূন্য চার বিলিয়ন (১০৪ কোটি) ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণের জন্য ডলার কিনে রিজার্ভও বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে রিজার্ভ থেকে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল। তার আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) বিক্রি করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। করোনা মহামারির কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় এবং রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় ডলারের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজার থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের বহুল প্রতিক্ষিত দ্বিতীয় কিস্তি ৬৯ কোটি ডলার, এডিবির ৪০ কোটি ডলার এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৯ কোটি ডলার ঋণ-সহায়তা পাওয়ায় রিজার্ভও অনেকটা বেড়েছে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘স্বস্তির খবর এই যে, আইএমএফ, এডিবি ও কোরিয়ার ঋণ পাওয়ায় রিজার্ভ বেড়েছে। নির্বাচনের আগে হয়ত রিজার্ভ আর কমবে না। তবে নির্বাচনের দু-একদিন পরই আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদের ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। তাই রিজার্ভ বাড়াতে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক-এডিবিসহ অন্য দাতাদের কাছ থেকে আরও ঋণ-সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রেও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। যেসব ঋণ পাইপলাইনে আটকে আছে, সেগুলো দ্রুত ছাড় করাতে দাতাদের সঙ্গে দেন-দরবার করতে হবে।’

এদিকে আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণের জন্য ডলার কিনে রিজার্ভ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলার কেনাবেচা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত কাজের অংশ। সে হিসাবে বাজারদরেই কেনা হচ্ছে।

যারা বেশি প্রবাসী আয় আনছে ও উদ্বৃত্ত আছে, তাদের কাছ থেকে ডলার কেনা হচ্ছে। পাশাপাশি চলতি মাসে দাতা সংস্থা ও বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ এসেছে। তাতে রিজার্ভ বাড়ছে। রিজার্ভ এখন আইএমএফের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যের কাছাকাছি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি