মধ্য আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলীয় দেশ নিরক্ষীয় গিনির একটি সামরিক ঘাঁটিতে ধারাবাহিক কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ৩১ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও স্বেচ্ছাসেবীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আরও অনেক মৃতদেহ খুঁজে পান বলে সোমবার জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রোববার দেশটির বৃহত্তম শহর বাটায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে ঘটা এসব বিস্ফোরণ অন্তত ৬১৫ জন আহত হয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মন্ত্রণালয়টির বরাত দিয়ে জানিয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, আগুন থেকে নকোয়ানটোমা সামরিক ঘাঁটিতে ওই বিস্ফোরণ ঘটা শুরু হয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট তেওদোরো এঙ্গেমা ওবিয়াং মাঙ্গের উদ্ধৃতি দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মৃতের সংখ্যা ৯৮ জন বলে জানায়। প্রাথমিকভাবে যা হিসাব করা হয়েছিল এটি তার তিনগুণেরও বেশি।
আহতদের মধ্যে ২৯৯ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে টুইটারে লিখেছে মন্ত্রণালয়টি। দেশটির প্রেসিডেন্ট তেওদোরো ওবিয়াং এঙ্গেমা (ভাইস প্রেসিডেন্টের বাবা) জানিয়েছেন, দিনের বেলা ‘অবহেলাজনিত’ কারণে ব্যারাকের গুদামে এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ওবিয়াং বলেছেন, “বিস্ফোরণের ধাক্কায় বাটার প্রায় সব বাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ত্রাণসহ আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কৃষকরা ব্যারাকের আশপাশের ক্ষেতে আগুন দেওয়ার কারণেও এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ১৪ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিরক্ষীয় গিনি খনিজ তেল নির্ভর একটি দেশ। করোনাভাইরাস মহামারীর পাশাপাশি তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি সঙ্কটে পড়েছে। তেল রপ্তানিই এর অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি।
১৯৬৮ সালে স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত নিরক্ষীয় গিনি স্পেনের একটি উপনিবেশ ছিল। ওবিয়াং ১৯৭৯ সাল থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছেন। আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে একটানা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট তিনি।