1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

প্রতারক জিএম সহিদুল কতৃক ৮০ লাখ টাকা আত্নসাতের মামলা করায় বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১

সততা হ্যান্ডিক্যাফট এন্ড ফ্যাশনের পৌনে এক কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে প্রতিষ্ঠানের সাবেক জিএম মোহাঃ সহিদুল ইসলাম। পাওনা টাকা চাইলে হামলা মামলাসহ সন্ত্রাসী লেলিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। পাওনা টাকা ফেরত এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য প্রধান মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছে।

সততা হ্যান্ডিক্যাফট এন্ড ফ্যাশনের মালিক মোঃ এমদাদুল হক শিকদার বলেন, ২০০৫ সালে ক্ষুদ্র পরিশওে ঢাকায় হ্যান্ডিক্যাফট এর ব্যবসা শুরু করি বেশ কিছুদিনের মধ্যে অমার ব্যবসা উন্নতি দিকে এগুলে ব্যবসা প্রসার করতে লোকবল নিযোগ ক্ষেত্রে আমার ছোট ভাই, বড় ভাই, বোনের জামাতা এবং এলাকার অনেককেই চাকুরী দিয়েন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেই । তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আমার বাইপাস সার্জারী করতে হয় তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অনেক দিন বেড রেস্টে থাকতে ছিলাম। এমতাবস্থায় আমার ব্যবসার দায়িত্ব আমার ছোট ভাই সহিদুলকে বুঝিয়ে দেই এবং মিটিং কল করে সকলকে শহিদুল এর নির্দেশমত চলার জন্য নির্দেশ দেই।

তিনি বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আমার অনুউপস্থিত এবং তদারকি না থাকায় আমার ছোট ভাই সহিদুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ববিভিন্ন কায়দায় আমার প্রতিষ্ঠান থেকে ৮০ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করে। এমদাদ বলেন, আমাকে না জানিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানের পিএম মোঃ ইকবাল হোসেন ও আমার ছোট বোনের স্বামী মোঃ ইলিয়াস এর সহযোগীতা নিয়ে একই সময়ে অতি গোপনে দুইটি ফ্যাক্টরী স্থাপন করে এবং আমার প্রতিষ্ঠানের অনেক লোক সে বেশি বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় এবং আমার চলমান সমস্ত কাজ তার নতুন ফ্যাক্টরীর নামে ওয়ার্ক ওর্ডার বানিয়ে নিয়ে বিশাল অংশের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমার ব্যবসায়িকক বিশাল ক্ষতি সাধন করেছে।

এমদাদ প্রতিবেদককে বলেন, তাদের প্রতারনার ঘটনা গুলো আমি আমার বাবা এবং অভিভাবকদের জানাই এবং এর প্রতিকার চাই কিন্তু তাদের কারো কথা তারা আমলে নেননি। পরে আমি আমার ব্যবসায়িক এলাকা ঢাকা মিরপুরস্থ কাউন্সিলর কার্যালয়ে কমিশনার সামসুন নাহার বরাবর সুষ্ঠ বিচার চেয়ে আবেদন করি। কাউন্সিলর অফিসে তাদের তলব করে এবং সেখানে তারা অপরাধ স্বীকার করে ভবিষ্যতে আমার কোন ক্ষতি করবেনা বলে অঙ্গিকার করেন। পরে তাদের নির্যাতন মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এরপর আমি নিরুপায় হয়ে মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। কিন্তু তাতে কোন কাজ না হওয়ায় আবারও নিরুপায় হয়ে দন্ডবিধি ৪২০/৪০৬/৩৮১ ধারায় একটি মামলা করি যাহার নম্বরঃ সিআর ৭৭৯/২২০। যাহা তদন্তধীন অবস্থায় আছে।

এমদাদ বলেন,তারা বর্তমান আমার ব্যাবসায় ক্ষতি করার জন্য ভেবে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে। তিনি বলেন, প্রতারক সহিদুল আমার বড় ভাইকে বলেছে, তাদের লোকজন আছে আমাকে হত্যা করে ফেলবে। আমার মামলার ২নং আসামী ইলিয়াস আমার বাবাকে ফোন করে দ্রুত মামলা উঠিয়ে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমি আদালতে মামলা করার পর সহিদুলগং আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার নামে থানায় ২টি জিডি এবং ভ’যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এছাড়া মামলায় আমার স্বাক্ষীগণের নামেও জিডি করেছে। এদের অত্যাচার নির্যাতনে আজ আমি দিশেহারা।
বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য তারা যে হুমকীগুলি দিয়েছে তা আমার নিকটতম লোক যেমন আমার বাবা, বড় ভাই, বড় ভাবী, ছোট ভাই এর স্ত্রী এবং আমার স্ত্রী তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরিস্থীতির শিকার হয়ে তারা যদি অস্বীকার করে সেজন্য আমি সকলের জবানবন্দী রেকর্ডিং করে রেখেছি। আমি আজ ওদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অনেক দরজায় কড়া নেরেছি কিন্তু তেমন কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। যে ব্যাক্তি দেনার দায়ে ঢাকায় এসেছে তাকে আমি আশ্রয় দেই এবং চাকরী দেই তাকে ২০২০ পর্যন্ত বেতন দিয়েছি সর্বোচ্চ বিশ লক্ষ টাকা কিন্তু সে বাড়ীতে একটি ঘর করেছে ছাদ দিয়ে বিশ লক্ষ টাকার উপরে এছাড়াও দুইটি ফ্যাক্টরী করেছে যাহার অগ্রীম বাবদ সর্বনিম্ন মূল্য ছয় লক্ষ টাকা এরপর দুইটি এমব্রয়ডারী মেশিন ক্রয় করেছে যাহার সর্বনিম্ন মূল্য ছত্রিশ লক্ষ টাকার উপরে, দুইটি প্রিন্টিং টেবিল ক্রয় করেছে যার বাজার মূল্য সর্বনিম্ন ছয় লক্ষ টাকা। সর্বমোট এক কোঠি বিশ লক্ষ টাকা হয়তো পাঁচ লক্ষ টাকা কমবেশি হতে পারে কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে সে আমার চাকুরী করে এত টাকা পেলো কোথায়? তারা একটি অপরাধ ঢাকতে গিয়ে হাজার অপরাধ এ জড়িয়ে যাচ্ছে- একের পর এক জিডি করে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি