অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদার ও তার ৩৭ সহযোগীর বিরুদ্ধে আরও দশটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে পিকে হালদারের সহযোগী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেমসহ ৪৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
তিনি বলেন, পি কে হালদার ও তার ৩৭ সহযোগীর বিরুদ্ধে ১০টি পৃথক পৃথক মামলা অনুমোদন করা হয়েছে। ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই ১০টি মামলা করা হবে। একই সঙ্গে পি কে হালদারের ৩৩ সহযোগীর সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় পি কে হালদারের তদন্তের অংশ হিসেবে তার ৭ হাজার ৮০ শতাংশ জমিসহ একটি ১০ তলা ভবন জব্দে আদালত থেকে আদেশ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের এক আবেদনে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এই চার কোম্পানি হলো—ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।
এর মধ্যে আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে গত বছরের শুরুতে পি কে হালদারের বিদেশ পালানোর পর দুদক তার ২৭৫ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদের’ খবর দিয়ে মামলা করে।
এ মামলায় ইতোমধ্যে পি কে হালদারের বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।