মুস্তাকিম নিবিড়ঃ
টানা চতুর্থ বারের মত সরকার গঠন করলো শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের ভোট-ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিয়ে চলেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। নিজের অর্জনেই তিনি ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন।দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলায় তিনি ‘জননেত্রী’, ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’, ‘দেশরত্ন’, ‘রাষ্ট্রনায়ক’ প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। বারবার হয়েছেন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সংগঠিত বর্বোরাচিত হামলার শিকার। দেশ ও দশের জন্যেই হয়তো বারবার মৃত্যু মুখ থেকে তার ফিরে আসা।
আওয়ামী লীগের টানা চার মেয়াদের ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে তার অর্জনের তালিকাটা এককথায় বিশাল। তার শাসনামলেই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার। শেষ হয়েছে একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকনোমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছিটমহল বিনিময়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশের মতো বড় বড় অর্জন এসেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও অনেক অর্জনের মধ্যে রয়েছে- নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীতকরণ।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে শেখ হাসিনা জাতির জন্য আরও যেসব অর্জন নিয়ে এসেছেন তার মধ্যে রয়েছে- দেশে দারিদ্র্যের হার হ্রাস, গড় আয়ু প্রায় ৭৪ বছর ৪ মাসে উন্নীত হওয়া, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশে উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তি চালু, প্রতিটি উপজেলা একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ, বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের উপাসনালয়কে আর্থিক সহায়তা প্রদান।
শেখ হাসিনা ১৯৯৬-০১ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি তার সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালি।
গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী শিক্ষার বিস্তার, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস ও দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। সেসবের মধ্যে অন্যতম সাউথ ভিশনারি পুরস্কার-২০১৪, শান্তি বৃক্ষ-২০১৪, জাতিসংঘ পুরস্কার-২০১৩ ও ২০১০, রোটারি শান্তি পুরস্কার-২০১৩, গোভি পুরস্কার-২০১২, সাউথ-সাউথ পুরস্কার-২০১১, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০১০, পার্ল এস. বার্ক পুরস্কার-২০০০, সিইআরইএস মেডাল-১৯৯৯, এম কে গান্ধী পুরস্কার-১৯৯৮, মাদার তেরেসা শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮, ইউনেস্কোর ফেলিক্স হোফুয়েট-বোয়েগনি শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য এ বছর জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’-এ ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ৯০ ভাগ বাস্তবায়ন। দুই হাজার নয় সালের ৬ জানুয়ারি দিনবদলের অঙ্গীকারের নৌকায় চড়ে সোনালি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের।সেই সরকারের ক্ষমতার টানা মেয়াদ ১৪ বছর পেরিয়ে গেছে। টানা তবন মেয়াদের ধারাবাহিকতায় বর্তমান চতুর্থ মেয়াদের তিন দিন আলোকোজ্জ্বল পথে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় জনগণকে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রায় ৯০ ভাগ বাস্তবায়নে সক্ষম হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘দিনবদলের সনদ, ২০১৪ সালে ‘শান্তি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে’ এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক জনগণকে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভয়াল করোনা মহামারী এবং প্রাকৃতিক-মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা করেই অধিকাংশই বাস্তবায়ন করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। গত ১৪ বছরে দেশকে বদলে দেয়ার মতো দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ ও চলমান মেয়দে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি রেখে দ্বাদশ নির্বাচনের ইশতেহার সম্প্ন্ন করনে নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেছে নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ।
আর এই ১৪ বছরে শুধু জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণই নয়, বরং উন্নয়ন-অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা ও সমৃদ্ধির সকল সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের আস্থা-অর্জন বহুগুণ বাড়িয়ে নিতেও সক্ষম হয়েছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের পাশাপাশি দেশের জনগণের সঙ্গে গোটা বিশ্বই দেখেছে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সফলতার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা ম্যাজিক।
সর্বশেষ শত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ স্থাপনা স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো সরকারে থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে, একাত্তরের পরাজিত পাকিস্তানও এখন বাংলাদেশ হতে চায়। সরকারের সাফল্যের পালকে আরেক নতুন মাইলফলক রচিত হবে।
সম্প্রতি এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা রাজনীতি করি, আমার একটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তখন যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করি সেখানে এই দেশকে কিভাবে আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব সেই কর্মপরিকল্পনারই একটা কাঠামো থাকে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এবং বাজেট প্রণয়ন করেছে তখন তার নির্বাচনী ইশতেহারটা সামনে রেখে কতটুকু তার বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কতটুকু করতে হবে তা ধরেই সব সময় কর্মনির্ধারণ করে থাকে। এক্ষেত্রে দলের জন্যও পৃথক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। কাজেই আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে কখনও আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারটা কিন্তু ফেলে দেইনি। জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রজেক্টসমূহের দ্রুত বাস্তবায়ন. সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গীবাদ ও মাদক নির্মূল, পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পসমূহ দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন, তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, দারিদ্র্য নির্মূল, মানব উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, প্রত্যেক গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা, মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়াকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। করোনার মহামারীর মধ্যেও প্রায় সকল নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া এই রাজনৈতিক দলটি। সমাজের দুষ্টক্ষত বলে পরিচিত দুর্নীতি নির্মূলে পুরোপুরি সফল না হলেও আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিবাজ নিজ দলের বড় নেতা হলেও তাকে কোন ছাড় দেয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন এলেই বিএনপিসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে আকৃষ্ট করতে অনেক প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। অতীতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপি-জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য দল যারা বৈধ-অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে জনগণকে দেয়া অঙ্গীকারের ৩০ ভাগও বাস্তবায়ন করেনি। বরং যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতায় গিয়ে জনগণকে দেয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম একমাত্র আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা সরকার, নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতায় এসে তার শতভাগ পূরণ করার চেষ্টা করেছে এবং সেক্ষেত্রে সফল হয়ে জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে। আর এই বিশাল সফলতা ও দেশকে বদলে দেয়ার অর্জনগুলো সামনে রেখেই আওয়ামী লীগ দ্বাদশ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ের রেকর্ড অর্জন করেছে। যখন সারা বিশ্বের মানুষ জানতো না করোনা নামক এক মহামারী গোটা বিশ্বকে লন্ডভন্ড করে দেবে। ক্ষমতায় আসার এক বছর না যেতেই ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম এই প্রাণঘাতী করোনা মহামারী ধরা পড়ে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর করোনা মহামারীতে সারা বিশ্ব অচল হয়ে পড়ে, লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গোটা বিশ্বের মানুষকে ‘লকডাউন’ নামে ঘরবন্দী করে ফেলে বিশ্বের অর্থনীতি ধসে পড়ে, যার প্রভাব এখনও চলমান।
টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসে এই ভয়াল করোনা নামক মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধ করে শেখ হাসিনা সরকার একদিকে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে, বিশ্বের উন্নত দেশও যখন করোনার ভ্যাকসিন আনতে পারেনি, তখন আওয়ামী লীগ সরকার বাজেটের বিপুল টাকা ব্যয় করে ভ্যাকসিন এনে বিনামূল্যে তা মানুষকে দিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করেছে। করোনা মোকাবেলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ সারাবিশ্ব। করোনা মহামারী মোকাবেলা করেও আওয়ামী লীগ জনগণকে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা ভুলে যায়নি। করোনার মধ্যেও পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল সহ বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করেছে।দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সর্ববৃহৎ স্থাপনা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুয়ার খুলে দিয়ে দেশের ইতিহাসে এক নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছেন। ২০২৩ এর শেষ দিকেআরেকটি বৃহৎ মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল ও বঙ্গবন্ধু ট্যানেল জনগণের যাতায়াতের জন্য খুলে দিয়েছেন।
এ ছাড়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকার শক্তহাতে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা দমন করতে সক্ষম হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলে তারুণ্যের শক্তিকে দেশের সমৃদ্ধির কাজে লাগাতেও সফল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই বলাবাহুল্য “যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হাড়াবে না বাংলাদশ”