বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নতুন করে নির্বাচনের দাবিকে মামা বাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷
রোববার (১৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি৷
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশি-বিদেশি চাপ নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, চাপ বিদেশ থেকেও আছে। দেশে তো আছেই কিন্তু আমরা অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখি, সাহস রাখি, সামর্থ্য রাখি। আমরাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। আমাদের সম্পর্ক মাটি আর মানুষের সঙ্গে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে গ্রামীণ বাজারগুলো পর্যন্ত ভরপুর; খাদ্য সামগ্রী, ফল-মূল। আমাদের পার্বত্য এলাকায় রাস্তা হওয়ায় প্রচুর জিনিস বাজারে আসছে। দ্রব্যমূল্য দেখতে পাচ্ছেন, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। নিম্ন আয়, স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ কষ্ট লাঘব করা দরকার এবং এটা প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন। এখন সর্বাত্মক চেষ্টা আমাদের চালাতে হবে। দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের সক্ষমতার মধ্যে থাকে।’
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি, অর্থনীতি ও ব্যক্তিগত জীবনের সর্বক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ আছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সেই চ্যালেঞ্জ কঠিন। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে এবার চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মনে করি কোনো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা অসম্ভব নয়। সবই অতিক্রম করতে পারবে বর্তমান সরকার। পদ্মাসেতু শুরুর সময় কেউ ভাবেনি এটি শেষ করা হবে। বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এছাড়া আর পাঁচটি পরিকল্পনা আছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোর কাজ শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। সড়কে ও যানবাহনে শৃঙ্খলা ফেরানো এখনও চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প চলছে। এটি শেষ করতে পারলে রোড সেফটি নিশ্চিত হবে। আজ অনেক সড়ক হচ্ছে। সড়কগুলো স্মার্ট করতে হবে। যেন এক পশলা বৃষ্টিতেই অস্তিত্বহীন না হয়ে যায়। এ বিষয়গুলোও আমরা দেখবো। অনেক সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশটা সকলের। দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে। আমরাও চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবো না। একটা দল চিরজীবন ক্ষমতায় থাকেও না। এ দেশের সকল সম্পদ জনগণের। বিরোধীদলের যারা আছেন তারাও এ সম্পদের অংশীদার। কাজেই উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেটা ২০৪১ সাল অবধি আমাদের ভিশনে নিয়ে যেতে হবে।