সরকারি কেনাকাটাসহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম বরদাশত করব না।
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার পরিচালনার স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি আয় ব্যয় এবং ক্রয় এসব বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে এবং স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার সঙ্গে করতে হবে। এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম বরদাশত করব না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দেশের জন্য ভালো না। আমাদের যতটুকু সম্পদ আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাবো। আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে আমরা এগোব।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সীমিত সম্পদ জনসংখ্যা বেশি। আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়েই জনগণের কল্যাণ করতে হবে।
সামাজিক সুরক্ষা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়স্ক ভাতা ও সামাজিক সুরক্ষা ভাতা সঠিক লোক যথাযথভাবে যেন পায় সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলেন দেশের পঞ্চমবারের প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, চক্রান্ত করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে যাতে কেউ বিক্ষুব্ধ করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
বৈরী পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই সকলকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে মানুষকে বিক্ষুব্ধ করানো যায় সেই চক্রান্ত চলছে। দেশি-বিদেশি বৈরি পরিবেশ মোকাবিলা করেই এগোতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
খাদ্যপণ্যের দামে ভারসাম্য আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কীভাবে নিত্যপণ্যের দামে সামঞ্জস্য করা যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সকল মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অপচয় রোধে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কেই হিসাব করে চলার পরামর্শও দেন সরকারপ্রধান।