দেশের বাজারে সব ধরনের স্বর্ণের দাম ভরিতে দুই হাজার ৪১ টাকা কমেছে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার (১০ মার্চ) থেকে স্বর্ণের এ নতুন দাম কার্যকর হবে। চলতি বছরে একটানা তিন ধাপে স্বর্ণের দাম মোট কমলো ৫ হাজার ৫৪০ টাকা। সর্বশেষ স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয় চলতি বছরের ৩ মার্চ।
বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় নতুন দাম অনুযায়ী দেখা গেছে, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ১০৯ দশমিক ২০ টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণের দাম ছিল ৭১ হাজার ১৫০ দশমিক ৪০ টাকা। ভরিতে দাম কমেছে দুই হাজার ৪১ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৫৯ দশমিক ৯২ টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ৬৮ হাজার এক দশমিক ১২ টাকা। দাম কমেছে দুই হাজার ৪১ দশমিক ২০ টাকা।
একইভাবে ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম পড়বে ৫৭ হাজার ২১১ দশমিক ৯২ টাকা। বর্তমান দাম রয়েছে ৫৯ হাজার ২৫৩ দশমিক ১২ টাকা। ভরিতে কমেছে দুই হাজার ৪১ দশমিক ২০ টাকা।
সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণ প্রতি ভরির দাম ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৮৯ দশমিক ২৮ টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত দাম ছিল ৪৮ হাজার ৯৩০ দশমিক ৪৮ টাকা। প্রতি ভরিতে দাম কমেছে দুই হাজার ৪১ দশমিক ২০ টাকা।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক হাজার ২২৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতিতে প্রতি ভরির দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের বাজারে এতদিন সনাতন পদ্ধতিতে রূপার ভরি বিক্রি হতো ৯৩৩ টাকায়। নতুন করে রূপার ক্যারেট শ্রেণি বিন্যাস করে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাজুস।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বাংলানিউজকে বলেন, করোনাকালীন বিশ্ব অর্থনীতির জটিল সমীকরণের মধ্যে অস্থির আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় দেশের বাজারে অচলাবস্থা কাটাতে ও ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে বাজুস র্নিধারিত মূল্য তালিকায় স্বর্ণ বিক্রির অনুরোধ করা হয়েছে।