আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টিআইবি হচ্ছে বিএনপির দালাল। তাদের প্রত্যেকটা কথা একপেশে, বিএনপির ওকালতি করে তারা। তারা সরকার বিরোধী। যে ভাষায় বিএনপি কথা বলে সেই ভাষায় টিআইবিও কথা বলে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংযে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে উপলব্ধি করেছি, টিআইবি সব সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল। সব সময় বিএনপির পক্ষে কাজ করেছে তারা। গবেষণা নিয়ে কাজ করে তারা। কিন্তু তাদের গবেষণায় আমরা নিরপেক্ষতা খোঁজে পাচ্ছি না। টিআইবি বলেছিল, পদ্মা সেতু অসম্ভব। সিপিডিও একই মন্তব্য করেছিল। কিন্তু বাস্তবতা কী দেশবাসী দেখেছে।
টিআইবির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা একপেশে পক্ষপাতিত্ব করে সেটা বলছি, সব ব্যাপারে কি মামলা ঠুকে দিতে হবে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, টিআইবি বলেছিল, পদ্মা সেতু অসম্ভব, এটা কিন্তু টিআইবির বক্তব্য। সিপিডিও একই মন্তব্য করেছিল। কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আমরা জবাব দেই রাজনৈতিকভাবে, আমরা উত্তর দেই দেশের মানুষের পার্সেপশান যেন ভিন্নখাতে না যায়। রাজনৈতিকভাবে আমরা কথাবার্তা বলি। সব কিছু আইনগতভাবে হয় না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা রাজনৈতিক দল, আমাদের পার্টির এই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা কৌশল ছিল, রাজনীতিতে রণকৌশল থাকবেই, আমরা একটা রণকৌশল অবলম্বন করেছি। ভেতরে দ্বন্দ্ব, অন্তর কলহ এগুলো আওয়ামী লীগে নতুন হচ্ছে এমন না। সব রাজনৈতিক দলেরই এইসব ব্যাপারে সুখকর নয়। এটার সমাধান আবার সেই দলই করে।
তিনি আরও বলেন, একাধারে ১৫ বছর আমরা ক্ষমতায়। এসবের মধ্যেই তো সব কিছু মোকাবিলা করি। এটাও আমাদের চলার পথে চ্যালেঞ্জ। এটা আমরা দলীয়ভাবে অবশ্যই মোকাবিলা করব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের পার্টিতে যত সমস্যায় থাকুক, আমরা সবাই কিন্তু ঐক্যবদ্ধ। আমাদের সুবিধাটা কিন্তু এখানেই। যেখানে আমাদের একজন নেতা আছেন যার প্রশ্নে কোন বিরোধ নেই।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন, পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।