বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে হাইভোল্টেজ ম্যাচে দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নামে রংপুর রাইডার্স। এমন ম্যাচে টসে জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাট করতে নেমে খালেদ আহমেদ ও মেহেদী মিরাজদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় তামিমের বরিশাল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর। দলীয় ৩১ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চরম চাপে পড়ে রংপুর। এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও শামিম পাটোয়ারি মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৬৫ রানে অধিনায়ক নুরুল হাসন আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ২৩ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সোহান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। শেষ পর্যন্ত মেহেদি হাসান ও শামিমের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে রংপুর। শামিম ৩৩ বলে ৩৪ ও মেহেদি ১৯ বলে ২৯ রান করেন। বরিশালের হয়ে বল হাতে খালেদ আহমেদ নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।
রংপুরের দেওয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে বরিশালের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন তামিম ইকবাল ও ইব্রাহিম জাদরান। এই দুই ওপেনারের উড়ন্ত সূচনা পায় বরিশাল। তবে দলীয় ৩১ রানে জাদরান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ১২ রান করে এই আফগান ব্যাটার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে সঙ্গে নিয়ে রনের চাকা সচল রাখে তামিম।
তবে দলীয় ৬৬ রানে তামিম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। প্যাভিলিয়নের ফেরার আগে ২৪ বলে ৩৫ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার এদিন হতাশ করেন বরিশালকে। নামের পাশে ১ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটার।
দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পরে বরিশাল। সেখান থেকে চারে ব্যাট করতে নামা অভিজ্ঞ মুশফিকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামলিয়ে রানের চাকা সচল রাখে। তবে দলীয় ৯৪ রানে মিরাজ আউট হলে ভাঙে ২৭ রানের এই জুটি। সেখান থেকে শোয়েব ও রিয়াদের ক্যামিওতে ৫ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় ফরচুন বরিশাল।