1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন

জামিনেও মেলে না মুক্তি, কারাফটকে টাকা দিতে হয়

জাতীয় অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট : সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এখন অনেকে আদালত থেকে জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না। জামিনের কাগজ নিয়ে কারাফটক থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আবারও নতুন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আওয়ামী পুলিশ প্রশাসন বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী দলগুলোর নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে খেলছে। অবৈধ সরকার যেন নিজেদের টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। জামিনে মুক্তি পেলেও জেলগেটে অপেক্ষমাণ গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের টাকা না দিলে তাদের মুক্তি মিলছে না।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, অসংখ্য গরিব নেতাকর্মী জেলগেটের টাকা না দেওয়ার কারণে কারাগারেই ধুকে ধুকে জীবন কাটাচ্ছে। শেখ হাসিনা বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন আওয়ামী সুরক্ষাবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আজ দেড় দশক ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে টাকা চুষে নেওয়ার জন্য। আমি মনে করি, গণতন্ত্র আদায়ে জনগণের অঙ্গীকার কখনোই নিষ্ফল হবে না।

এ সময় তিনি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ মামলা প্রত্যাহার এবং নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান।

রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির ভোট জনগণ প্রত্যাখান করেছে। অনেক অনুনয়-বিনয় আর স্বৈরাচারী উগ্র প্রতিমূর্তি ধারণ করেও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেনি। কারণ জনগণ আগেই টের পেয়েছিল এরা ভোটকেন্দ্রে লোক সমাগম দেখিয়ে সন্ধ্যাবেলায় পূর্ব নির্ধারিত ব্যক্তিদের সংসদ সদস্য হিসেবে নাম ঘোষণা করবে। সেটি ভোটের দিন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হয়েছে। এরা নির্বাচনকে বিকৃত করেছে। আর এই ধোঁকাবাজির নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীকে গত তিন/চার মাস ধরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশবিক নিপীড়ন নির্যাতন চালানো হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনে অনেকেই কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। কারা হেফাজতে ও রিমান্ডে নির্যাতন পৃথিবীর সকল জালিমের রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে। কারও হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কারও হাত ও পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে, কারও চোখের আলো নিভে গেছে পুলিশের ছোড়া শটগানের গুলিতে।

রিজভী আরও বলেন, দুদিন আগে পত্রিকায় দেখেছি ‘ডামি সরকারে’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ উগান্ডায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নাকি ভারতের সম্পর্ক গভীর থেকে আরও গভীর হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা আংশিক সত্য। সম্পর্ক গভীর হয়েছে তবে সেটি বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গভীর করতে গিয়ে এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ ও রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের জনগণ হারিয়েছে গণতন্ত্র, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং ভোটের অধিকার।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বিনাভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখে উন্নয়নের দোহাই দিলেও সর্বত্রই নৈরাজ্য। উন্নয়ন হলে দেশে কেন গ্যাস সংকট, বিদ্যুৎ সংকট। উন্নয়ন হলে কি কারণে একটি উন্নয়নশীল বাংলাদেশকে একটি পরনির্ভরশীল এবং আমদানি নির্ভর দেশে পরিণত করা হয়েছে? বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  তারেক রহমান প্রায়শই একটি কথা বলে থাকেন, তা হলো জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। জনগণের ক্ষমতায়নের পূর্বশর্ত মানুষের ভোটের অধিকার।

তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বারো কোটি ভোটারের লুণ্ঠিত ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি আর দুর্বৃত্তায়নের হোতা আওয়ামী অলিগার্কদের কবল থেকে দেশ মুক্ত করে জনগণের লুণ্ঠিত ভোটের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি