1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা মামলায় স্বামীর মুত্যৃদন্ড

মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লব
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লবঃ

স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী মোঃ মানিক মিয়া ব্যাপারীকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো.আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি আমামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর মেয়ে সাদিয়া আফরিন রিতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় আসামি। বিবাহের পর হইতে তাহাদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক বিষয় লইয়া ঝগড়া বিবাদ চলিত। প্রায় সময় আসামি বাদীর মেয়েকে মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন করিত। গত ২০১৩ সালের ১২ জানুয়ারি বাদীর স্ত্রীর মোবাইলে আসামি ফোন দিয়ে জানায় যে, তাদের মেয়ের খুব জেদ, ০২দিন যাবৎ সে বাসায় আসে নাই, তাহার যদি কিছু হয় সে জন্য আসামি দায়ী থাকিবনা বলিয়া মোবাইল কাটিয়া দেয়। এরপর থেকে আসামির মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বাদীর স্ত্রী ১৪ জানুয়ারি বাড়ী হইতে ঢাকা  বাসায় গেলে বাসার দরজায় তালা বন্ধ অবস্থায় দেখিতে পাইয়া পাশের ফ্লাটের বাড়ীওয়ালার বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে তাকে জানায় তাদের মেয়ে বাসায় তাহার স্বামীর সাথে ঝগড়া ঝাটি করিয়া একটি ব্যাগ লইয়া একা বাসা হইতে বাহির হইয়া গিয়াছে। এই কথা শুনিয়া বাদীর স্ত্রী বাড়ীতে ফিরিয়া আসে এবং বাদীকে জানায়। এরপর বাদীর মেয়ে সম্পর্কে ঢাকা শহরে তাহার নিকটতম আত্মীয়- স্বজনের নিকট খোঁজখবর নিতে থাকে। ১৭ জানুয়ারি পুলিশ আসিয়া বাদীকে জানায় যে, তাহার মেয়ে ঢাকায় তাহার বাসায় মারা গিয়াছে তাহার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। সংবাদ শুনিয়া বাদী তাহার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যাইয়া ভিকটিম সাদিয়া আফরিন রিতা এর লাশ মর্গে মাথা শরীর হইতে আলাদা অবস্থায় দেখিতে পাই। তাহার ডান পায়ের উরু ও হাটুর নিচে এবং ডান হাতের বগলের উপরে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম দেখি। লোকমুখে জানিতে পারি যে, বাদীর মেয়ের বর্তমান ভাড়া বাসা হইতে দূর্গন্ধ বাহির হইলে বাড়ির মালিক মিরপুর থানা পুলিশকে জানাইলে থানা পুলিশসহ বাড়ীর মালিক ও উপস্থিত লোকজন বাদীর মেয়ের উক্ত ফ্লাটের ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখিতে পায় যে, ভিকটিমের মাথাবিহীন শরীর ফ্লাটের দক্ষিণ পার্শ্বের রুমের বাথরুমে পড়িয়া রহিয়াছে এবং তার দেহ হইতে বিচ্ছিন্ন মাথা প্লাস্টিকের নীল রংয়ের একটি ড্রামে রহিয়াছে। এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি ভিকটিমের বাবা মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করে। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই মোহাম্মদ সেলিম ৫ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০ এপ্রিল একই আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি আতাউর রহমান।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি