ঢাকায় সিআইডির এসআই পদে কর্মরত স্বামী নওয়াব আলীর আয়ের উৎস থেকে স্ত্রী গোলজার বেগম (৪৮) কোটিপতি হয়েছেন বলে দুদকের মামলার তদন্তে উঠে এসেছে। গতকাল এই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গোলজার বেগম। এ সময় শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আদালতে জামিন আবেদনের শুনানিকালে দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। আগামী ৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। তবে আদালত সূত্রে জানা যায়, এসআই মো. নওয়াব আলী দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক বানিয়েছেন স্ত্রী গোলজার বেগমকে। মাছ চাষ থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা আয় করেছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। দুদক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলজার বেগম চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার চানমারি এলাকার বাসিন্দা। তিনি মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তার স্বামী নওয়াব আলী ঢাকায় সিআইডির এসআই পদে কর্মরত। তাছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের সাবেক অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। দুদকের তদন্তে জানা গেছে, নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায় ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত একটি দোতলা বাড়ি, স্ত্রী গোলজার বেগমের নামে সীতাকুন্ডের ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, নগরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও ৪ শতক জমি এবং একটি মাইক্রোবাস রয়েছে।