এম.জি.কিবরিয়া চৌধুরীঃ
বাংলাদেশের বয়স ৫৩ বছর। মহান মুক্তিযুদ্ধের গণসংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন করে্। গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সমুন্নত থাকলে ১৯৮০ সালেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতো্। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব ও অধনবাদী পস্থায় সাম্য ভ্রাতৃত্ব শ্লোগান নিয়ে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের মা্ধ্যমে যে কর্মসূচি ঘোষনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তা নিমিষেই সব শেষ করে দেওয়া হয়েছিলো। মধ্যম আয়ের দেশ তো দূরের কথা, গণতন্ত্রের কন্ঠস্বর মূল্যবোধকে ধ্বংস করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষমতায় আগুয়ান হয়ে পড়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু বিহীন দেশে আওয়ামী লীগ স্রোতের প্রতিকূলে সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৮১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উদ্বাস্তু হয়ে ঘুড়ে বেড়াতে বেড়াতে দেশে ফিরে হাল ধরেন আওয়ামী লীগের।
১৯৮১ থেকে ২০২৪ সাল। ১৯৭৫ থেকে ২০২৪। ৪৯ বছর লাগাতার সংগ্রামের ফসল ২০২৪ সাল। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ এক অন্যান্য সাধারন সংসদ হিসেবে ইতিহাস হয়ে থাকবে।১৯৭৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদকে কলুস মুক্ত করা যায়নি। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের সংসদ পর্যন্ত সংসদের রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ৭১ সালের তথা ৭৩ সালের মতো সংসদ আর হয়ে উঠেনি । ২০২৪ সাল, এক ব্যতিক্রমধর্মী ও দার্শনিক চিন্তা ও সংগ্রামের ফসল সহ জাতীয় আন্তর্জাতিক কুটনৈতিক সর্ম্পকের মাধ্যমে এক্সট্রা অর্ডিনারি সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৪৯ বছর পর ২৪ সালের জাতীয় সংসদে রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধী,সাম্প্রদায়িক শক্তি, অগণতান্ত্রিক সহ ৭১ এর মূল চেতনা পরিপন্থী সংবিধান বিরোধী সকল শক্তি অপসারিত হয়েছে। ২৪ সালের সংসদ ৭১ এর ও ৭৩ সালের সংসদে ফিরে এসছে। সবচেয়ে সিগনিফিকেন্ট হলো সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ২৪ সালে এলিমিনেট হয়ে গেছে।
অগণতান্ত্রিক শক্তি সাম্প্রদায়িক শক্তি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি পাকিস্তানী ধ্যান ধারনা ও হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মাঠে থাকবে। সংসদে থাকার সুযোগ নেই। সংসদ থেকে অলআউট হয়ে গেছে। এজন্যই এই সংসদ অনুন্য সাধারন।