অনুসসন্ধানী প্রতিবেদন পর্ব-১ঃ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আমানুল্লাহ, অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত বলেই তার নাকি বেজায় ক্ষমতা।
সম্প্রতি সময়ে বিভিন্ন মহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি, অনিয়ম, বদলি বাণিজ্য, ঠিকাদারদের জিম্মি করে কমিশন আদায় সহ নানান গুরুতর অপরাধের। প্রকৌশলী আমানুল্লাহ রাজধানী ঢাকায় তার আরো এক সহকর্মীর সাথেই ধানমন্ডি ১৫/এ রোডের ৫০ নম্বর বাড়ির থ্রি-সি ফ্ল্যাট, লালমাটিয়া সি ব্লকের ১০/১১ নম্বর বাড়িতে ১ টি ফ্ল্যাট ও মোহাম্মাদপুরের মোহাম্মদী হাউজিং এ প্লট ও বাড়ি কিনেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিভিন্ন সূত্র। সরজমিনে অনুসন্ধানে যার সত্যতা পাওয়া যায়। আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারদের জিম্মি করে বিভিন্ন সময় কমিশন গ্রহণ করে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করতে মরিয়া আমানুল্লাহ ও তার কিছু অনুসারী কর্মকর্তাগণ। যেখানে তার পছন্দমত ঠিকাদার থাকবে, এবং পূর্ববর্তী ঠিকাদারদের করা হবে ব্ল্যাকলিস্টেড।
চাকুরী জীবনের শুরু হতেই পয়সা বাগীয়ে নিতে সিদ্ধহস্ত এই প্রকৌশলী। নিজ সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় প্রকৌশলী আমানুল্লাহ নাকি কানাডা মালয়েশিয়ার বেগমপাড়ায় গড়ে তুলেছেন কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকা।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর প্রচন্ড আস্থাভাজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আমানুল্লাহ নাকি খুবই প্রভাবশালী একজন কর্মকর্তা। তার রয়েছে একটি নিজস্ব ভুঁইফোর সাংবাদিক গ্রুপ, যার মাধ্যমে হরহামেশাই অন্যান্য সৎ মেধাবী অফিসারদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করানো, এবং বিভিন্ন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রকাশ করায় এই প্রকৌশলী। যার একটাই উদ্দেশ্য নিজের রাস্তা পরিষ্কার করে নিজ লোকজনদের কাজ পাইয়ে দেওয়া। এবং গোটা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জুড়ে নিজ আধিপত্য কায়েম করা। মুখে মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও একজন সরকারি কর্মকর্তার হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাওয়ার গল্প রয়েছে অনেকেরই জানা। রাজধানীর ধানমন্ডির লালমাটিয়া মোহাম্মদপুরে একাধিক ফ্লাট, বাড়ি, টয়োটা ব্র্যান্ডের দামি ব্যক্তিগত গাড়ির অস্তিত্ব স্বরে জমিনে পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আমানুল্লাহর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি দাম্ভিক স্বরে বলেন আপনারা অনুসন্ধান চালিয়ে যান।
যেখানে রাজধানীর ধানমন্ডি লালমাটিয়ার মত এলাকায় একটি সরকারি কর্মকর্তার বাড়ি ভাড়া দিয়ে সংসারের খরচ মিটিয়ে একটি সাইকেল কেনাটাই দুরহ ব্যাপার, সেখানে আমানুল্লাহর কিভাবে এত অর্থ ও সম্পদ? দৃশ্যমান ভাবে আমানুল্লাহর সম্পদ গুলো আয় বহির্ভূত বলে গণ্য হয়েছে, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগের অধিকতর তদন্ত করলে বেরিয়ে আসতে পারে থলের ভেতর থেকে কালো বিড়াল। প্রকৌশলী আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগের গভীর তদন্ত চলমান রয়েছে, যা দেখা যাবে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার পরবর্তী প্রতিবেদনে।