রিয়াদ সিজন কাপে রাতে নেইমারের আল হিলালের বিপক্ষে মাঠে নামে লিওনেল মেসির ইন্টার মিয়ামি। প্রথমবারের মতো এই দুই ক্লাব একে অপরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। তবে চোটের কারণে পুরো মৌসুম দলের বাইরে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। নেইমার থাকলে বার্সেলোনার সেই ‘ত্রিরত্ন’কে অন্তত একসঙ্গে আরেকবার মাঠে দেখা যেত। বার্সেলোনার সাবেক দুই সতীর্থ লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে তার পুনর্মিলনীটা তাই হলো না।
তবে রিয়াদের কিংডম অ্যারেনায় পয়সা উশুল দর্শকের। ৭ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে মেসির ইন্টার মিয়ামিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় নেইমারের আল হিলাল।
ঘরের মাঠে আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকে আধিপত্য বজায় রাখে আল হিলাল। যার ফলও পেয়ে যায় দ্রুত ম্যাচের ১০ মিনিটে দলটিকে এগিয়ে নেন মিত্রোভিচ। দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আল হামদান। দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পর ইন্টার মিয়ামির হয়ে সূচনা করেন লুইস সুয়ারেজ। ৩৪তম মিনিটে মেসি থেকে আসা বল জালে পাঠান সুয়ারেজ।
তবে রেফারি শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজালেও ভিএআর দেখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে সমতায় ফেরে মিয়ামি। কিন্তু মেসির গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এরপর প্রধমার্ধের শেষ দিকে আরও একটি গোল হজম করে মিয়ামি। ৪৪ মিনিটে মেসিদের জালে বল পাঠান মাইকেল। এরপর আর গোলের দেখা না পেলে ৩-১ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় উভয় দল।
বিরতি থেকে এসে পিছিয়ে পড়া মিয়ামি মরিয়া হয়ে ওঠে সমতায় ফিরতে। সেই সুযোগও তৈরি হয় দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে বক্সে ফাউলের শিকার হন মিয়ামি ফুটবলার রুইজ। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। সুযোগ পেয়ে সফল স্পট কিকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি।
এর দুই মিনিট পর মিয়ামিকে সমতায় ফেরান রুইজ। দারুণ প্রত্যাবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি ঘুরে দাঁড়ালেও শেষপর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি তারা। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে মিয়ামি কোচ মেসি তুলে নেন, এর এক মিনিট পর ৮৮ মিনিটে আল হিলালকে এগিয়ে নেন ম্যালকম। ম্যাচের বাকি সময় আর গোল না হলে ৪-৩ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল।